নদীর উৎসমুখই গেল শুকিয়ে, ঐতিহাসিক খরার কবলে দেশ
এমন অবস্থা এর আগে দেখেনি তারা। পৃথিবী বিখ্যাত নদীর উৎসমুখই গেল শুকিয়ে। চারিদিকে খরা। এদিকে আগামী আরও কয়েকদিন তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস।
১৯৩৫ সালে একবার এমন পরিস্থিতির কাছাকাছি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর এই ২০২২ সালে এসে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হল। এবার জুলাই মাসে সেখানে বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬৫ শতাংশ কম। ফলে খরা।
এই প্রথম ব্রিটিশ সরকার শুক্রবার সরকারিভাবে দেশের দক্ষিণ, পূর্ব ও মধ্যভাগকে খরা কবলিত বলে ঘোষণা করল। এখানে টানা চলতে থাকা অসহ্য গরম, তাপপ্রবাহে জল শুকিয়ে গিয়েছে। মাটিতে ফাটল ধরেছে। মানুষ ত্রাহি ত্রাহি রব ছাড়ছেন।
তার মধ্যেই আরও চিন্তা বাড়িয়ে আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে এখানেই শেষ নয়, আরও বাড়বে গরম। সেজন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন ঐতিহাসিক গরমে এর আগে কখনও পোড়েনি প্রধানত ঠান্ডার দেশে ব্রিটেন।
এর মধ্যেই আরও এক খবর ব্রিটেন তো বটেই, এমনকি গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। ব্রিটেনের বিখ্যাত টেমস নদী, যা লন্ডন শহরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে, তার উৎসমুখ শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে টেমস নদীটাই না শুকিয়ে যায় সেই আতঙ্কে ভুগছেন অনেকে।
যদিও সরকারিভাবে টেমসের জল ব্যবহার বন্ধ করার কথা জানানো হয়নি। টেমস নদীর উৎসমুখে সামান্য কিছুটা করে জল বইছে মাত্র। তাও না স্তব্ধ হয়ে যায় সেই আশঙ্কায় রয়েছেন অনেকে।
কারণ গরম এখনই ব্রিটেনের পিছু ছাড়বে না। শুধু ব্রিটেন বলেই নয়, গোটা ইউরোপ জুড়েই এক কখনও না দেখা গরম থাবা বসিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিজেদের এই গরমের কষ্ট থেকে বাঁচাবেন তার পথ পাচ্ছেন না। বিশ্ব উষ্ণায়নের এই প্রভাব কিন্তু আগামী দিনের জন্য মোটেও সুখের বার্তা দিচ্ছেনা।