মশা মারতে কামান দাগা কথাটির সঙ্গে আমরা পরিচিত। কিন্তু যৌনাঙ্গে ‘সেক্স টয়’ আটকে যাওয়ায় একেবারে দমকলবাহিনীকে তলবের কথা বোধহয় কেউ শোনেননি। যৌন উত্তেজনার আনন্দ নিতে পাশ্চাত্য হোক বা প্রাচ্য, ‘সেক্স টয়’-এর চাহিদা এখন তুঙ্গে। যৌন পরিতৃপ্তির আনন্দ পেতে সেই বিশেষ ধরণের খেলনা ব্যবহার করতে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ইপসুইচের এক ব্যক্তি।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে চরম উত্তেজনার মুহুর্তে বৃত্তাকার খেলনাটি আটকে যায় তাঁর পুরুষাঙ্গে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ওই ব্যক্তিকে মাঝরাতে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। খেলনার কামড় থেকে ওই ব্যক্তির গোপনাঙ্গ মুক্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান চিকিৎসকেরা। কিন্তু ব্যর্থ হন তাঁরা। বাধ্য হয়ে খবর দিতে হয় দমকলকে।
যথাসাধ্য সাবধানতা অবলম্বন করে দমকলবাহিনীও চেষ্টা করতে থাকে ওই ব্যক্তিকে যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি দিতে। কিন্তু কোনওভাবেই সেই কাজে তারা সফল হতে পারছিল না। শেষে আরও লোক চেয়ে আবার খবর যায় দমকল বিভাগে। প্রায় ৬ ঘণ্টার লড়াই শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন দমকলবাহিনীর ১০ জন সদস্য। রাত গড়িয়ে ঘড়ির কাঁটা তখন সকাল ৬টা বেজে ৪০-এর ঘরে। যন্ত্রণায় নিস্তেজ হয়ে আসা ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ ‘সেক্স টয়’-এর ফাঁদ থেকে অবশেষে বার করে আনতে সক্ষম হন দমকলবাহিনীর কর্মীরা। তবে যৌন উদ্দীপক খেলনার সাঁড়াশির চাপে পড়ে গোপনাঙ্গের আটকে পড়ার ঘটনা এই প্রথম নয় বলে জানিয়েছে দমকলবাহিনী। তাদের দাবি, এর আগেও তারা এমন বেশ কয়েকটি ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।