৪০ বছর ধরে নিজের গর্তে ৩টি চিঠি সযত্নে আগলে রাখল খরগোশ
খরগোশের এই দায়িত্ববোধ সকলকে অবাক করেছে। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, কিছুই ৩টি কাগজের চিঠির কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। বরং সযত্নে রইল ৪০ বছর ধরে।
মানুষ তাঁর পছন্দের জিনিস আগলে রাখেন। আবার কেউ যদি কোনও জিনিসের দায়িত্ব তাঁকে দিয়ে যান তাহলেও মানুষ সতর্ক থাকেন সেগুলির যেন কোনও ক্ষতি না হয়। কিন্তু সেটা মানুষের বোধশক্তি মানুষকে দিয়ে করাতে পারে, তা বলে খরগোশ!
খরগোশের বাড়ি ছোট ছোট গর্ত। পাথর বা মাটির খাঁজে গর্ত করে সেখানেই বসবাস করে খরগোশরা। এমনই এক খরগোশের গর্তে হাত ঢুকিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৩টি চিঠি।
রাস্তার ধারের এই খরগোশের গর্তের কাছেই কাজ করার সময় এই ৩টি চিঠি এক ব্যক্তির নজরে পড়ে। ওই ইঞ্জিনিয়ার গর্ত থেকে ৩টি চিঠি বার করে আনেন।
চিঠিগুলি সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে। একটির ওপর একটি করে রাখা ছিল সেগুলি। খরগোশদের অনেক কিছু দাঁত দিয়ে কাটার অভ্যাস থাকে। কিন্তু এ গর্তের খরগোশেরা চিঠিগুলিকে অক্ষত রেখেছে। যত্নেও রেখেছে। এটা মানতেই হবে চিঠিগুলির সুন্দর পরিস্থিতি দেখে।
চিঠিগুলি খুলে দেখা যায় এগুলি লেখা হয়েছিল ইয়র্ক শহরের এক মহিলাকে। লেখা হয়েছিল ৪০ বছরেরও আগে। সেইসব চিঠিতে এমন কিছু নেই যা কারও নজরে পড়া উচিত নয় বা দেখলে ওই মহিলার অনেক কথা জানতে পেরে যাবেন।
চিঠিতে গোপন কিছুই ছিলনা। সহজ কথায় অত্যন্ত মামুলি কথাবার্তা লেখা ওই চিঠি যে কিছু লুকোতে সেখানে ফেলে যাওয়া হয়েছিল তা দেখে মনে হচ্ছেনা।
তবে তা যে ওখানে কেউ ফেলে দিয়ে গিয়েছিল তা পরিস্কার। তারপর ৪০টি বছর সেই ৩ চিঠি ওই খরগোশের গর্তে খরগোশদের নজরদারিতে ও যত্নে দিব্যি ছিল। চিঠিগুলি পাওয়া গিয়েছে ব্রিটেনের হলস নামে জায়গা থেকে।