ইঁদুর যাতায়াতের ফাইন হিসাবে গুনতে হল সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা
মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হল তাঁকে। টাকায় সাড়ে ৭ লক্ষ। ইঁদুরের প্রমাণ মিলতেই এই টাকা কড়ায় গণ্ডায় মেটাতে হল এক ব্যবসায়ীকে।
বেশ চলছিল ব্যবসা। বড় ফ্যাক্টরি। সেখান থেকে তৈরি হওয়া কেক পৌঁছে যাচ্ছে দোকানে। সেখানে বিক্রি হচ্ছে দেদার। ফলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৩৭ বছরের ওই ব্যক্তির ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। এর মধ্যেই একদিন তাঁর কেক তৈরির ফ্যাক্টরিতে হাজির হলেন উলভারহ্যাম্পটন সিটি কাউন্সিলের তরফ থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি।
কারখানা খতিয়ে দেখতে গিয়ে তাঁদের নজরে পড়ে মেঝেতে পড়ে থাকা কিছু জিনিস। আকারে ছোট। কিন্তু নজরে পড়ছে। সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা যায় আদপে সেগুলি ইঁদুরের বিষ্ঠা।
আশপাশে নজর করে অবশ্য ইঁদুরের দেখা মেলেনি। কিন্তু ইঁদুরের বিষ্ঠা যখন পাওয়া গিয়েছে তখন তো কারখানায় বা তার আশপাশে ইঁদুর রয়েছে।
যেখানে কেকের মত রেডি টু ইট বা কিনেই খাওয়া যায় এমন খাবার তৈরি হচ্ছে। বহু মানুষ তা দাম দিয়ে দোকান থেকে কিনে খাচ্ছেন। সেখানে সেই কেক প্রস্তুত যেখানে হচ্ছে সেখানে ইঁদুরের বিষ্ঠা প্রমাণ করে সেখানে ইঁদুরের যাতায়াত আছে। ইংল্যান্ডের ওই কেক সংস্থার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করেন পরিদর্শনকারীরা।
মনদীপ সিং নামে ৩৭ বছরের ওই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে তাঁকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা জরিমানার মুখে পড়তে হয়।
ইঁদুর দেখা না গেলেও ইঁদুরের বিষ্ঠা প্রমাণ করেছে সেখানে ইঁদুরের যাতায়াত আছে। সেই কারণে এই মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হল মনদীপকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা