খয়েরি ঝোলে মাখামাখি হয়েই লড়তে হয় কুস্তি, ঝোলটা কিসের জানলে অবাক হবেন
একটি জায়গা ঘেরা। সেটাই কুস্তি লড়ার জায়গা। সেখানে ভরা আছে ঝোল। খয়েরি রংয়ের ঝোল। কিসের ঝোল জানলে চোখ কপালে উঠবে।
এও এক খেলা। দারুণ জনপ্রিয়ও বটে। কারণ খেলতে যেমন মানুষ আসেন নানা প্রান্ত থেকে, তেমন দেখতেও মানুষের ভিড় নজর কাড়ে। এটা কুস্তির লড়াই। একটি প্রতিযোগিতা। যেখানে ২ মিনিটের বাউট হয়। তাতে যে জিততে পারে। তবে কুস্তি যেমন একটি গোল ক্ষেত্রের মধ্যে হয়। সেটাই আন্তর্জাতিক নিয়ম। এক্ষেত্রে কিন্তু ঠিক তা নয়। এখানেও কুস্তি লড়ার জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। সেই ঘেরা জায়গার মধ্যেই কুস্তি লড়তে হয়।
কুস্তি লড়তে নানা প্রান্ত থেকে মানুষ হাজির হন। তবে এখানে কুস্তি লড়ার জন্য শুকনো ক্ষেত্র পাওয়া যায়না। বরং পুরোটাই ভরা থাকে এক বিশেষ ধরনের ঝোলে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এর হড়কানি। এতটাই হড়হড়ে হয় এই ঝোল।
২০০৭ সালে এই খেলা শুরু হয়েছিল। তখন যে ঝোল ব্যবহার করা হত তা ছিল সত্যিকারের গ্রেভি। যা তৈরি করা হত মাংসের নির্যাস ও আনাজের নির্যাস মিশিয়ে। যেমন করে খাবার গ্রেভি তৈরি হয়।
এখন অবশ্য তা বদলে গেছে। এখনও গ্রেভিই হয়, তবে তা তৈরি হয় কর্নফ্লাওয়ার ও ক্যারামেল মিশিয়ে। যে কারণে তার রং হয় খয়েরি। অনেকটা তরল চকোলেটের মতন।
এখানে প্রতিযোগীরা সাধারণত মুখ ঢেকে রাখেন নানা ধরনের মুখোশে। তারপর সারা গায়ে ওই ক্যারামেল ও কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণে তৈরি গ্রেভিতে মাখামাখি হয়ে লড়াই চালিয়ে যান প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে।
ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ার-এর এই ওয়ার্ল্ড গ্রেভি রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান। এই মজার খেলা থেকে যা অর্থ আসে তা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের চিকিৎসায় খরচ করা হয়।