পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের জন্মদাতা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হোক। এই দাবিতে অনড় ছিল ভারত। তারজন্য রাষ্ট্রসংঘের কাছে দরবার করা এবং কূটনৈতিক যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় এতটুকু ঢিলে দেননি ভারতীয় কূটনীতিকরা। ভারতের এই আর্জি মেনেও নিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন বা ফ্রান্সের মত দেশগুলি। কিন্তু একমাত্র বেঁকে বসেছিল চিন। তাদের দাবি ছিল মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলার মত যথেষ্ট তথ্য নেই বলেই মনে করছে তারা। কিন্তু তাতেও দমেনি ভারত।
চিন না বলা চালিয়ে গেলেও রাষ্ট্রসংঘে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যান কূটনীতিকরা। আর সেই লড়াইয়ের ফল মিলল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রায় সব দেশ ভারতের আর্জি মেনে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তকমা দিতে রাজি হয়ে যায়। প্রবল চাপের মুখে পড়ে যায় চিন। ফলে শেষমেশ তাদেরও আন্তর্জাতিক চাপে নত হতে হল। মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে মেনে নিল তারাও।
রাষ্ট্রসংঘ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তালিকার অন্তর্ভুক্ত করল। এই সাফল্যের পরই ট্যুইট করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে থাকা সৈয়দ আকবরউদ্দিন। ছোট, বড় সকলে হাত মিলিয়েছেন। মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রসংঘের স্যাংশন লিস্টে সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়া হয়েছে। সমর্থনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ। ভারতের তরফেও এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ভারত সরকার একে সঠিক পথে এগোনো বলে ব্যাখ্যা করেছে।
চিনের ভেটোয় আটকে থাকা এই সিদ্ধান্ত এতদিন পর বাস্তবায়িত হওয়ায় তাকে স্বাগত জানিয়েছে ফ্রান্স। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী দিনে মাসুদ আজহারের যদি রাষ্ট্রসংঘের কোনও সদস্য দেশে কোনও সম্পত্তি থাকে তবে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়া এসব দেশে মাসুদ আজহার ঢুকতে পারবেনা।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)