নারী দিবসের আগে এমন এক তথ্য প্রকাশ্যে আসাটাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত তা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নারী দিবসের আগে এটা নারীকুলের জন্য ভাল খরব কী? নাকি পুরুষদের জন্য ভয়ংকর লজ্জার খবর? নাকি এ তথ্য নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নতুন অক্সিজেন দেবে? সত্যিই বুঝে ওঠা কঠিন।
রাষ্ট্রসংঘের একটি খতিয়ান জানাচ্ছে স্বামী নিগ্রহে ভারতীয় মহিলারা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথমেই রয়েছে মিশর। দ্বিতীয় স্বামী পেটানো রাষ্ট্র হয়েছে ইউনাইটেড কিংডম। আর তার ঠিক পরেই জায়গা পেয়েছে ভারত! সেই ভারত, যেখানে কিনা নারীকে দমিয়ে রাখার অভিযোগ পুরুষদের প্রায়শই শুনতে হয়। কীভাবে স্বামীকে পেটানো হচ্ছে? তাও জানিয়েছে খতিয়ান।
এক্ষেত্রে পতি নিগ্রহে হাত তো আছেই, সেই সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে সাংসারিক জিনিসপত্র, ধারালো অস্ত্র, পিন, বেল্ট এবং জুতো। পতির পুণ্যে সতীর পুণ্যে বিশ্বাসী ভারতীয় মহিলাদের এমন রণংদেহী মূর্তি যে দেশের সীমা পার করে রাষ্ট্রসংঘের সমীক্ষায় বেশ মর্যাদার সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে তাতে অনেকেই হতবাক। পরি পরমগুরু মেনে চলা ভারতীয় নারী দরজার পিছনে যে চামুণ্ডার রূপ নিয়ে থাকেন তা এতদিন অনেকেরই অজানা ছিল। সমীক্ষা বলছে বহু পুরুষই এই নিগ্রহ মুখ বুজে সহ্য করে নেন। লজ্জায় স্ত্রীর হাতে মার খাওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলতে পারেন না। তবে সমীক্ষার দাবি ঘটনা এটাই।