রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব হওয়ার পর থেকেই তিনি ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠা বিপন্ন হয় এমন কোনও একক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছেন। তিনি মনে করেননা ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন সমস্যা সমাধানের কোনও প্ল্যান ‘বি’ হয়। সংবাদ মাধ্যমের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই স্বচ্ছন্দ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কতক স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানালেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করাকে তিনি যে মেনে নিতে পারছেন না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন গুতেরেস।
ট্রাম্পের এমন রাতারাতি ঘোষণাকে মানতে পারছে না ব্রিটেন, ফ্রান্সের মত দেশও। যাদের মার্কিন বন্ধু হিসাবেই জানে গোটা বিশ্ব। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে তো খোলাখুলিই জানিয়েছেন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি বিঘ্নিত হবে। তাই দ্রুত এ বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে আলোচনা চেয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্সের মত দেশ। আগামী শুক্রবার আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। প্রসঙ্গত গত বুধবার আচমকাই জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করে দেন ট্রাম্প। যত দ্রুত সম্ভব মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরানোরও নির্দেশ দেন তিনি। সেই মত বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে দূতাবাস সরানোর কাজ। এদিকে ট্রাম্পের এমন একতরফা সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ প্যালেস্টাইন। সেখানে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। পোড়ানো হয়েছে ট্রাম্পের ছবি, ইজরায়েলের পতাকা।
ইজরায়েলের সঙ্গে মার্কিন বন্ধুত্ব নতুন কিছু নয়। যদিও বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন নেতানিয়াহুর রাষ্ট্রের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কিছুটা তলানিতে ঠেকে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ফের যে ছবি পাল্টাতে থাকে। এখন ইজরায়েলের সঙ্গে মার্কিন মুলুকের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞেরা। আর সেই ভাল সম্পর্কের জন্য বন্ধু রাষ্ট্রকে আরও বন্ধু করে তুলতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়ে রাতারাতি জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী আখ্যা দিয়ে দিলেন ট্রাম্প। যা এই মুহুর্তে সারা বিশ্ব তো বটেই এমনকি খোদ মার্কিন রাজনৈতিক মহলেও চরম সমালোচনার মুখে।