উত্তর কোরিয়া বাড়াবাড়ি করলে যে তা সহ্য করা হবে না তা আগেই জানিয়েছিল আমেরিকা। জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের গা ঘেঁষে কিমের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ার পর ট্রাম্প প্রশাসনের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। উত্তর কোরিয়ার বেপরোয়া মানসিকতায় যখন অনেকেই যুদ্ধ শুরুর গন্ধ পাচ্ছেন, তখন আমেরিকা তাতেই এদিন ধুনো দিল। মার্কিন স্টেলথ ফাইটার ও বোমারু বিমান এদিন চক্কর দিল কোরিয়ান পেনিনসুলার ওপর। এফ-৩৫বি ফাইটার বিমান ও বি-১বি বোমারুর মত অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমানের এমন চক্কর কিন্তু কিমকে স্বস্তিতে থাকতে দেবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
সাকুল্যে ৪টি ফাইটার ও ২টি বোমারু বিমান উড়িয়েছে আমেরিকা। তারপরই দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়া যেভাবে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমানবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে তাতে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার যৌথ শক্তি প্রদর্শনের দরকার ছিল। এদিন সেই কাজটাই করেছে আমেরিকা। এটা ছিল নেহাতই নমুনা। কিন্তু এভাবে কোরীয় এলাকা জুড়ে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়তে থাকলে তা বড়সড় বিপদের কারণ না হয়। আপাতত সেই আতঙ্কেই ভুগছেন বিশেষজ্ঞ থেকে এখানকার আমজনতা।