রোগী অসুস্থ হওয়ায় স্থগিত টিকার ট্রায়াল
করোনা প্রতিষেধক টিকার পরীক্ষা চলছে মানবদেহে। অনেক টিকারই পরীক্ষা চলছে। এমনই একটি বিখ্যাত সংস্থার টিকা পরীক্ষা থমকে গেল মাঝপথে।
ওয়াশিংটন : করোনা প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা বিশ্বজুড়ে চলছে। অনেকে টিকা বানিয়ে এখন মানব শরীরে তার ফলাফল জানতে ট্রায়াল বা পরীক্ষা চালাচ্ছে।
অনেক সংস্থাই তাদের ট্রায়ালের বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। এই ট্রায়ালে পাশ করার ওপরই নির্ভর করছে আগামী দিনে তাদের টিকা বিশ্বে করোনা প্রতিষেধক টিকার স্বীকৃতি পাবে কিনা।
এখন যা পরিস্থিতি তাতে চলতি বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতেই বিশ্ববাসী বেশ কিছু টিকা পেয়ে যাবেন। সেখানেই এখন প্রতিযোগিতা চলছে কে কত তাড়াতাড়ি টিকা আনতে পারে।
বিশ্বখ্যাত জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থাও টিকা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের টিকা মানবদেহে ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে।
ওষুধ বা টিকার এই ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবক দরকার পড়ে। যিনি স্বদিচ্ছায় এই পরীক্ষায় অংশ নেন। জনসন অ্যান্ড জনসন-এর ট্রায়ালে এমনই এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টিকা প্রয়োগের ফলে তিনি অসুস্থ হওয়ায় আপাতত ট্রায়াল স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছে সংস্থা।
এইসব ট্রায়ালের অনেকগুলি ধাপ যেমন হয়, তেমনই স্বেচ্ছাসেবকদের সুরক্ষার নানা দিক মাথায় রাখতে হয়। তার বিভিন্ন প্রোটোকল রয়েছে। যা মেনে চলতে হয়।
আপাতত সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তির অসুস্থ হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখবেন। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত। তবে ওই ব্যক্তির টিকা প্রয়োগের ফলে ঠিক কী ধরনের শারীরিক অসুস্থতা হয়েছে তা সংস্থার তরফে জানানো হয়নি।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয় ও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির গোপনীয়তা রক্ষা তাদের দায়বদ্ধতা। তবে ট্রায়াল আপাতত স্থগিত হয়েছে। কবে তা ফের চালু হবে তাও পরিস্কার নয়। ফলে যতটা তাড়াতাড়ি এই নির্ভরযোগ্য সংস্থার টিকা বাজারে আসতে পারত তা কিন্তু এল না।
জনসন অ্যান্ড জনসন-এর তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল সেপ্টেম্বরে। আর অক্টোবরেই বিপত্তি। মার্কিন মুলুকে এই নিয়ে দ্বিতীয় কোনও করোনা প্রতিষেধক টিকার ট্রায়াল তৃতীয় পর্যায়ে স্থগিত হল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা