১১ হাজার বছর আগেও ৫ রকমের কুকুর ছিল বিশ্বে
১১ হাজার বছর আগেও বিশ্বে কুকুরের অস্তিত্ব ছিল। এমনই হদিশ পেলেন বিজ্ঞানীরা। যা তাঁদেরও অবাক করেছে। শুধু সারমেয় ছিলই না তাদের ৫ রকমের ধরনও ছিল।
শেষ তুষার যুগের শেষে যদি বিশ্বে কোনও গৃহপালিত পশুর অস্তিত্ব ছিল তো তা ছিল কুকুর। যা এখনও বহাল তবিয়তে তাদের অস্তিত্ব ধরে রেখেছে।
১১ হাজার বছর আগে পৃথিবীতে সারমেয় ছিল। আর শুধু ছিলই না। তাদের ৫টি ধরন ছিল। যারা সে সময় নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াত। ১১ হাজার বছর ধরেই সারমেয়রা তাদের অস্তিত্ব বিশ্বের বুকে টিকিয়ে রেখেছে। শুধু টিকিয়েই রাখেনি তাদের নানা প্রজাতি তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন যাদুঘর থেকে সারমেয়দের হাড়ের অংশের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই সিদ্ধান্ত উপনীত হতে পেরেছেন। যা কিন্তু নতুন এক দিক খুলে দিল ইতিহাসের। যা জানাল ১১ হাজার বছর আগেও পৃথিবীতে সারমেয় ছিল।
যে নমুনা সংগ্রহ করে গবেষকেরা এই গবেষণার কাজ করেন সেগুলি হল সারমেয়দের পাওয়া দাঁত ও হাড়ের অংশ। যা গবেষণা দলের সদস্যরা বিশ্বের কোণা কোণা থেকে সংগ্রহ করে আনেন।
সেগুলি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন যে তার অস্তিত্ব ১১ হাজার বছর আগে ছিল। তবে সারমেয়রা সে সময় পালিত হত কিনা তা তাঁরা বলতে পারেননি। কারণ তখনও মানুষ শিকার করেই খাবার সংগ্রহ করত।
প্রশ্ন হল তখনও কী সারমেয়ের প্রজাতিগুলি এখনকার প্রজাতির মতই দেখতে ছিল? ডিএনএ পরীক্ষার পর গবেষকেরা জানাচ্ছেন সারমেয়দের চেহারার কিন্তু খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। বরং তখনও যেমন তাদের গড়ন ছিল, যেমন তাদের দেখতে ছিল এখনও প্রায় তাই রয়েছে।
সারমেয়রা এসেছিল এক ধরনের নেকড়ের প্রজাতি থেকে। কালক্রমে সেই নেকড়ের প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু তাদের থেকে তৈরি সারমেয়রা তাদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়।
গবেষকেরা এও জানিয়েছেন মানুষের সঙ্গে সারমেয়দের সখ্যতা আজকের নয়। বহুকাল আগে থেকেই মানুষ ও সারমেয়দের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্ক বজায় ছিল। মানুষ ও সারমেয়রা যে তাদের মধ্যে একটা সখ্যতা বজায় রেখে চলত তারও প্রমাণ মিলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা