আছড়ে পড়া সেই উল্কা আসলে এলিয়েন, মেনে নিলেন বিশেষজ্ঞেরাও
২০১৪ সালে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল একটি উল্কা। তীব্র গতি নিয়ে সেটি আছড়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে। যা আদপে একটি এলিয়েন বলে এবার মেনে নিলেন বিশেষজ্ঞেরা।
২০১৪ সালে পৃথিবীর বুকে যে উল্কাপিণ্ডটি আছড়ে পড়ে সেটি নিয়ে অনেকদিন ধরেই পরীক্ষা চলছিল। অবশেষে মার্কিন স্পেস কমান্ডের গবেষকরা মেনে নিলেন যে সেটি একটি এলিয়েন। আর সেটাই হল এখনও পর্যন্ত বিশ্বের বুকে আছড়ে পড়া প্রথম এলিয়েন।
এখানে এলিয়েন বলতে ভিনগ্রহের জীব না বলে একটি বস্তু বোঝাচ্ছে। একটি প্রস্তরখণ্ডকে বোঝাচ্ছে। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ৯৯.৯৯ শতাংশ নিশ্চিত যে ওই উল্কাখণ্ডটি এই সৌরমণ্ডলের অংশ নয়।
যে সৌরমণ্ডলে পৃথিবী রয়েছে অর্থাৎ সূর্যকে কেন্দ্র করে যে সৌরজগত রয়েছে তার অংশ ওটি নয়। উল্কাটি অন্য কোনও সৌরমণ্ডলের অংশ। যা এই সৌরমণ্ডলে প্রবেশই করেনি, আছড়ে পড়েছে পৃথিবীর বুকে।
এতদিন ধারনা ছিল ২০১৭ সালেই প্রথমবারের জন্য অন্য সৌরমণ্ডলের প্রস্তরখণ্ড ছিটকে এসেছিল পৃথিবীতে। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ওমুয়ামুয়া। কিন্তু এবার ২০১৭-র খণ্ডটি দ্বিতীয় হয়ে গেল।
যা দাঁড়াল তাতে ২০১৪ সালেই বিশ্বের বুকে প্রথম সৌরজগতের বাইরের কোনও নক্ষত্রমণ্ডল থেকে প্রস্তরখণ্ড ছিটকে আসে। ইউএস স্পেস কমান্ড তাদের দাবি ট্যুইট করে সামনে এনেছে।
প্রতি ১০ বছরে একটি করে এমন বাইরের নক্ষত্রমণ্ডলের অংশ পৃথিবীতে এসে পড়ে বলেও দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যেখান থেকে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের জীবদের কথাও জানতে পারা যেতে পারে।
এসব প্রস্তরখণ্ডে লুকিয়ে থাকতে পারে ভিনগ্রহের জীবদের কথা বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এজন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।