চামড়া ছুঁলেই চুম্বকের মত আটকে যায় সবকিছু, এই ক্ষমতাই এখন তাঁর রোজগারের রাস্তা
পৃথিবীতে অনেক কিছু ঘটে যার ব্যাখ্যা হয়না। এমন মানুষও রয়েছেন যাঁর চামড়ায় কিছু ছুঁলেই তা সেখানে আটকে যায়। এটা আজব ক্ষমতাই এখন তাঁর রোজগারের রাস্তা।
পৃথিবীতে অদ্ভুতের শেষ নেই। কেউ ভাবতে পারেন তিনি একটি ভারী বোতল গালে ছোঁয়ালেন আর সেই বোতলটি তাঁর গালে আটকে গেল। তরলে ভরা কাচের বোতল গালে ঝুলছে কিন্তু পড়ছে না! অসম্ভব মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটাই সত্যি।
এমন এক মানুষ এই পৃথিবীতেই রয়েছেন যাঁর চামড়ার সঙ্গে লাগলে কিছুই পড়ে যায়না, ঝুলতে থাকে। চামড়া তো নয় যেন চুম্বক!
মনে হতেই পারে যে চামড়ায় নিশ্চয়ই কিছু লাগানো আছে। কিন্তু পৃথিবীর আর পাঁচজনের মতই তাঁর চামড়ায় কিছু লাগানো নেই। নেই কোনও আঠা জাতীয় পদার্থ। তবু এই অসম্ভব সম্ভব হচ্ছে!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যামি নামে ওই ব্যক্তি প্রথম এটি বুঝতে পারেন বালক বয়সে। তখন তিনি যে খেলনাগুলি নিয়ে খেলতেন, সেগুলি আটকে যেত তাঁর চামড়ায়।
এরপর একদিন তিনি তাঁর কামানো মাথা ঠান্ডা করতে সেখানে একটি ঠান্ডা পানীয়ের ক্যান ঘষছিলেন। হাত ফস্কাতেই তিনি দেখেন ক্যানটি পড়ে না গিয়ে তাঁর মাথায় আটকে ঝুলছে।
জ্যামি বুঝতে পারেন তাঁর চামড়ায় রয়েছে আজব ক্ষমতা। পরে তিনি জানতে পারেন যে স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে তাঁর চামড়া অক্সিজেন অনেক বেশি শোষণ করে। সেই থেকেই তৈরি হয়েছে এই চৌম্বক শক্তি। যা যে কোনও কিছুকে চামড়ায় আটকে রাখতে পারে।
এই ক্ষমতা বোঝার পর এখন তিনি এই ক্ষমতাকেই নিজের রোজগারের পথ করেছেন। জ্যামি এখন বিভিন্ন সংস্থার উৎপাদিত দ্রব্য শরীরেরে বিভিন্ন অংশে লাগিয়ে ঘুরে বেড়ান রাস্তায়।
এতে তাঁকে দেখার পাশাপাশি মানুষ তাঁর দেহে লেগে থাকা ওই উৎপাদনগুলিও নজর করেন। ফলে সেগুলির বিজ্ঞাপন হয়। এসব সংস্থা এই বিজ্ঞাপনের জন্য জ্যামিকে মোটা অঙ্ক পারিশ্রমিক দেয়।