প্রতিটি টয়লেটে একসময় মজুত থাকত ভুট্টার খোসা
টয়লেটের সঙ্গে ভুট্টার খোসার কীভাবে সম্পর্ক থাকতে পারে সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু সেটাই ছিল। প্রতিটি টয়লেটে একসময় রাখা থাকত ভুট্টার খোসা।
বাথরুমের সঙ্গে ভুট্টার খোসার এখন কোনও সম্পর্ক না থাকতে পারে, কিন্তু একটা সময় ভুট্টার খোসার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। আর তা ছিল অত্যন্ত নিবিড়। বলা ভাল ভুট্টার খোসা ছাড়া টয়লেটে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারতেন না বিশ্বের একটি দেশের মানুষ।
টয়লেটে ভারতের মত দেশে সাধারণ মানুষ চিরকাল জল ব্যবহার করেছেন। শৌচ পরবর্তী ধৌতকর্মের জন্য জলই ছিল ভরসা। যা এখনও অধিকাংশ ভারতবাসীই ধৌতকর্মে ব্যবহার করে থাকেন।
কিন্তু পাশ্চাত্য দেশে শৌচকর্মের পর টয়লেট পেপার ব্যবহার প্রচলিত। সেখানে জলের ব্যবহার নেই। আমেরিকাতেও একই প্রবণতা প্রচলিত ছিল। কিন্তু তখনও টয়লেট পেপার কি তাই কারও জানা ছিলনা। টয়লেট পেপার তৈরিই হয়নি।
তখন আমেরিকার সব টয়লেটে মানুষজন ভুট্টার খোসা মজুত করে রাখতেন। শৌচকর্মের পর তাঁরা যাবতীয় মোছামুছির কাজ ওই ভুট্টার খোসা দিয়ে করতেন।
এই নিয়ম বহুকাল পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। যতদিন না তাঁরা টয়লেট পেপারের ব্যবহার জানলেন, ততদিন পর্যন্ত আমেরিকায় মলত্যাগের পর ভুট্টার খোসা ছাড়া গতি ছিলনা।
শুধু আমেরিকা বলেই নয়, অন্য দেশেও ভুট্টার খোসাই ছিল একমাত্র ভরসা। নয়তো যা হাতের কাছে পেতেন তা দিয়েই চলত শৌচকর্মের মোছামুছি।
১৮৫৭ সালে জোসেফ গায়েত্তি নামে এক ব্যক্তি এই টয়লেট পেপার তৈরি করলেন। জোসেফ সেটিকে ওষধি কাগজ বলতেই পছন্দ করতেন। সেই শুরু হল টয়লেটে এই বিশেষ ধরনের কাগজের ব্যবহার। দ্রুত হারিয়ে গেল ভুট্টার খোসার প্রয়োজনীয়তা।