ফুটন্ত জল নিমেষে বরফ হয়ে যাচ্ছে, তুষারঝড়ে ১৫ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎহীন
ফুটতে থাকা জল এক মুহুর্তের মধ্যে বরফ হয়ে যাচ্ছে। চারধারে শুধুই সাদা বরফের স্তূপ। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা তুষারঝড় বয়ে চলেছে। তারমধ্যে বহু বাড়িই লোডশেডিংয়ে অন্ধকার।
ভরা শীত যে কি ভয়ংকর চেহারা নিতে পারে তা এবার টের পাচ্ছেন মানুষজন। তুষারঝড় যে শুরু হয়েছে তা থামার নাম নিচ্ছে না। দিনের পর দিন পরিস্থিতি ক্রমশ শোচনীয় আকার নিচ্ছে। কেউ বাড়ি থেকে বার হতে পারছেন না।
চারধারে রাস্তাঘাট, গাছপালা, বাড়িঘর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব সাদা বরফের চাদরে ঢাকা। দৃশ্যমানতাও তলানিতে এসে ঠেকেছে। কিছুই প্রায় দেখা যাচ্ছেনা।
অনেক মানুষই জানাচ্ছেন জানালা দিয়ে বাইরে চোখ রাখলে চারধার শুধুই ঝাপসা। সারাক্ষণ তুষারপাত হচ্ছে। অনেক জায়গায় পারদ নেমেছে মাইনাস ৪৮ ডিগ্রিতে। ফলে সড়ক যোগাযোগ ভেঙে পড়েছে। রাস্তা অধিকাংশই বন্ধ।
আকাশপথে যাতায়াতেরও উপায় নেই। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় প্রায় সব বিমান বাতিল হয়েছে। বিমানবন্দর পর্যন্ত যে কেউ যাবেন তারও তো উপায় নেই।
এমনই এক চরম পরিস্থিতির শিকার আমেরিকার একটা বড় অংশ। আমেরিকার টেক্সাস থেকে সান ফ্রানসিসকো, ওকলাহোমা থেকে নর্থ ডাকোটা বা সাউথ ডাকোটা, লোয়া সর্বত্র একই পরিস্থিতি।
বড়দিন ও নতুন বছরের শুরু, এই সময়টা আমেরিকা জুড়ে উৎসবের মেজাজ থাকে। বছরের সবচেয়ে খুশির সময় মার্কিনবাসীর জন্য। এই সময়টা পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে ছুটি কাটানোর সময়। অনেকেই এই সময় নানা জায়গায় বেড়াতে চলে যান। বিমানে তিল ধারণের জায়গা থাকে না।
পর্যটন ক্ষেত্রগুলিতে থিক থাক করে মানুষ। গোটা দেশের যখন আনন্দে মেতে ওঠার সময়, তখন কার্যত দেশের প্রায় ২০ কোটি মানুষ গৃহবন্দি। ১৫ লক্ষের ওপর মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন।
খাবারের সমস্যাও বাড়ছে। জল ফোটানোর পর তা বাইরের আবহাওয়ার সংস্পর্শে এলে ফুটন্ত জল মুহুর্তের মধ্যে বরফ হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি কবে বদলাবে, কবে আবহাওয়ার উন্নতি হবে সেই দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা