তুষার বোমার আঘাতে সাদা বড়দিন কেড়ে নিল ৩২টি জীবন
পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। তুষার বোমার আঘাতে কার্যত লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহবন্দি। ঘর ছেড়ে বার হওয়ার উপায় নেই। শেষ হয়ে গেছে ৩২টি প্রাণ।
বরফের চাদর পুরু হতে হতে এখন ৮ ফুট পার করেছে। যে কোনও মানুষ বরফের তলায় হারিয়ে যেতে পারেন। অনেক গাড়ি চাপা পড়ে গেছে বরফের তলায়। বরফ গলা তো দূর বরং আরও পুরু হয়ে চলেছে।
রাস্তা বলে কিছু আর নেই। সড়ক পরিবহণ স্তব্ধ। শুধু তুষারপাত হয়ে চলেছে। বাড়িঘর, গাছপালা সব বরফে সাদা হয়ে গেছে। এরমধ্যেই কেটেছে ক্রিসমাস। বড়দিনের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে এই তুষার বোমার আঘাত। মানুষ ঘরেই কাটিয়েছেন বড়দিন। তাও আবার দুরুদুরু বুকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব প্রান্তের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কবে বিদ্যুৎ ফিরবে তাও জানা নেই। খাবারের সংকট প্রকট হচ্ছে। সমস্যা বাড়ছে পানীয় জলেরও।
বাইরে এক পা বার হওয়ার উপায় নেই। ফুটন্ত জল নিমেষে বরফের চেহারা নিচ্ছে। অধিকাংশ রুটে বিমান পরিষেবা বন্ধ। দৃশ্যমানতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
এমন পরিস্থিতি যে আপৎকালীন পরিষেবা পর্যন্ত বাড়িতে পৌঁছতে পারছেনা অনেক জায়গায়। সরকার চাইলেও মানুষের দরজায় পৌঁছতে হিমসিম খাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ জায়গায় পারদ শূন্য ডিগ্রির নিচে চলে গেছে। অনেক জায়গায় মাইনাস ৪৮ ছুঁয়েছে ঠান্ডা।
বড়দিন ও বর্ষশেষ মার্কিন মুলুকে কার্যত চুটিয়ে ছুটি উপভোগ করার সময়। বহু মানুষ অনেকদিন আগে থেকেই বেড়ানোর সব ব্যবস্থা করে রাখেন। সেসব বাতিল হয়েছে।
ফলে অনেক টাকাও নষ্ট হয়েছে মানুষের। সব মিলিয়ে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছেন মার্কিন মুলুকের বহু বাসিন্দা। লাগোয়া কানাডার পরিস্থিতিও প্রায় একই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা