কি কারণে কেকের টুকরো না খেয়ে বালিশের নিচে রাখা হত
বিশ্বজুড়ে কেকের কদর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সেই কেক না খেয়ে বালিশের নিচে নিয়ে শুতেন অনেকে। কারণটা বেশ আকর্ষণীয়।
কেকের স্বাদে মন ভরানো নতুন কিছু নয়। কেক মানেই রসনা তৃপ্তি। স্বাদে কেক অনেক খাবারকে টেক্কা দিতে পারে। এতটাই তার আকর্ষণ। সেই কেকের টুকরো এক সময় কিন্তু অনেকে খেতেন না। বরং বাড়ি এনে মাথার বালিশের নিচে রেখে রাতে শুয়ে পড়তেন। অবশ্য সেই কেকের টুকরো হত বিয়ের কেক।
আজ থেকে ৩০০ বছর আগেও আমেরিকায় এমন এক প্রথা যথেষ্ট প্রচলিত ছিল। বিশেষত মহিলারা এই প্রথার বেশি ভক্ত ছিলেন। সে সময় মনে করা হত বিয়ের কেকের টুকরো না খেয়ে বরং মাথার বালিশের নিচে রেখে শুলে রাতে স্বপ্নে মেয়েরা তাঁদের হবু স্বামীর দেখা পান।
সেই স্বামী হন সুপুরুষ। যাঁকে দেখে ঘুমের মধ্যেই মন ভরে যায় মেয়েদের। পরে সেই স্বপ্নে দেখা পুরুষই তাঁর জীবন সঙ্গী হন।
এমনও মনে করা হত যে মাথার বালিশের নিচে কেক নিয়ে শুলে জীবনে সৌভাগ্যের উদয় হয়। ভাগ্য ফিরে যায় মানুষের।
তাই শুধু মেয়েরা নন, পুরুষরাও মাথার নিচে কেক নিয়ে শুতে যেতেন। এই আশায় যে এই কেক তাঁদের ভাগ্য ফিরিয়ে দেবে।
এই প্রথার এখন আর সেই কদর নেই। তবে এখনও আমেরিকায় কেউ কেউ এই প্রথা মেনে মাথার বালিশের নিচে কেকের টুকরো রেখে রাতে শুয়ে পড়েন। যদিও এই প্রথার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে বিশ্বাস থেকে কিছু মানুষ আজও এই প্রথা মেনে চলেন।