একজীবনে এমন বিরলতম অবস্থা একবারই দেখা যায়, সেটাই চলছে
একজন মানুষ তাঁর জীবদ্দশায় এমন পরিস্থিতি একবারই দেখার সুযোগ পেতে পারেন। এটাই মনে করা হয়। এতটাই বিরল এই পরিস্থিতি। যা এখন চাক্ষুষ করা যাচ্ছে।
এ বড়ই বিরল দৃশ্য। বড় বিরল পরিস্থিতি। যে পরিস্থিতি খুব বেশি হলে মানুষ তাঁর একজীবনে একবারই উপলব্ধি করার সুযোগ পেতে পারেন। এমনটাই মনে করা হয়। সেটাই এখন দেখা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ অংশের রাজ্যগুলিতে।
টেক্সাস, লুসিয়ানা, ফ্লোরিডা, যেদিকেই তাকানো যাচ্ছে একই দৃশ্য নজর কাড়ছে। এখানে শীতকালে তুষারপাত নতুন কিছু নয়। প্রতিবছরই তা দেখতে পাওয়া যায়। তুষারঝড়ও হয়।
কিন্তু এবার যে তুষারঝড়ে কাবু মার্কিন মুলুকের দক্ষিণভাগ তা বহুকালের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়নি। তুষারঝড়ের সঙ্গে তুষারপাত তো হয়েই চলেছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিলাবৃষ্টি ও বরফপাত। যা দৃশ্যমানতাকে তলানিতে এনে ফেলেছে।
প্রবল ঝড় বইছে। চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ। জনজীবন স্তব্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে। অধিকাংশ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছেনা। গাড়ি চলার পরিস্থিতি নেই। চরম প্রতিকূল আবহাওয়া গ্রাস করেছে বিশাল অঞ্চল। ২৩ কোটি মানুষ এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
স্কুল, কলেজ বন্ধ। এমনকি অনেক অফিসও বন্ধ। দোকানপাট খুলছে না। প্রবল ঝড়ের সঙ্গে অবিরাম তুষারপাত অনেক বিমানবন্দরকে স্তব্ধ করে রেখেছে।
মিসিসিপি, অ্যালাব্যামা, ফ্লোরিডা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা সম্পূর্ণ বন্ধ। ২ হাজার ১০০টি বিমান বাতিল হয়েছে নানা প্রান্তে। পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। কোথাও বরফের স্তর ৬ ইঞ্চি তো কোথাও তার দ্বিগুণ। মানুষের হাঁটাচলার পরিস্থিতি নেই।
একজীবনে এমন অবস্থা একবারই দেখা যায়। সেকথা মাথায় রেখে দক্ষিণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে এক অতি ভয়ংকর ঠান্ডা আর তার সঙ্গে এমন অবিরাম তুষারঝড় অনেকেই তাঁদের জীবনে দেখেননি বলে মেনে নিচ্ছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা