World

অগুন্তি গুলি, রক্তের হোলি, মৃত ২৯

গুলি চলল যথেচ্ছ। একটি নয়, পরপর ২টি জায়গায়। সেই বেপরোয়া যথেচ্ছ গুলির শিকার হয়ে একের পর এক লুটিয়ে পড়লেন মানুষজন। আতঙ্কে এদিক ওদিক ছুটে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টায় কেউ সফল হলেন। কেউ পারলেননা। সকলের যে প্রাণ গেল তা নয়। আহতও হলেন অনেকে। কারও গুলি লাগল মাথায়, কারও পিঠে, কারও পেটে, কারও হাতে, কারও পায়ে। তাঁরা আপাতত হাসপাতালে। রবিবার এভাবেই রক্তের হোলি খেলল মার্কিন মুলুকের ২টি শহর। ২টি ক্ষেত্রেই বন্দুকবাজের এলোপাথাড়ি গুলির শিকার হলেন সাধারণ মানুষ।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে টেক্সাসে। এল পাসো শহরে এক বন্দুকবাজ ২১ বছরের প্যাট্রিক আচমকাই একটি বন্দুক বার করে ওয়ালমার্টের সামনে গুলিবর্ষণ শুরু করে। তখন সেখানে বহু মানুষের ভিড় ছিল। সকলেই কেনাকাটায় ব্যস্ত। এখানে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে লুটিয়ে পড়তে থাকেন মানুষজন। উন্মত্তের মত তখন গুলি চালিয়ে চলেছে প্যাট্রিক নামে ওই তরুণ। এখানে ২০ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ২৬ জন আহত হন। পরে পুলিশ প্যাট্রিককে গ্রেফতার করে। টেক্সাসের ইতিহাসে এটি অন্যতম নৃশংস ঘটনা।


টেক্সাসের ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই মার্কিন মুলুকের ওহিও-র ডেটন শহরে পরের ঘটনাটি ঘটে। এখানে নেড পিপারস বারের সামনে এক বন্দুকবাজ বড় আকারের একটি বন্দুক বার করে গুলি চালাতে শুরু করে। বন্দুকটি ছিল আধুনিক, স্বয়ংক্রিয়। এখানেও চিত্রটা একই রকম। মুহুর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। মানুষ যে দিকে পারেন ছুটতে শুরু করেন। আর্তনাদ করতে থাকেন। রক্তাক্ত হয়ে গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়তে থাকেন।

এখানে মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহত হন ১৬ জন। এঁদের কয়েকজনের বুলেটের ক্ষত এতটাই ভয়ংকর যে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। গুলি করে হত্যা করে বন্দুকবাজকে। তবে তার পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রবিবারের ছুটিকে ২টি শহরের ঘটনা এদিন রক্তাক্ত রবিবারে পরিণত করল অচিরেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button