করোনা আবহেই অনেক দেশে শিথিল হচ্ছে লকডাউন
বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছুঁতে চলেছে। তারমধ্যেই এবার বিশ্বের কিছু দেশ লকডাউন কড়াকড়ি শিথিল করে স্বাভাবিক জীবন আস্তে আস্তে ফেরানোর পক্ষপাতী।
বিশ্বের অনেক দেশেই লকডাউন চলছে করোনা রুখতে। অনেক দেশে করোনার জন্য লকডাউন ২ মাস ছুঁতে চলেছে। এতদিন ধরে কার্যত অর্থনীতির দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মানুষও ক্রমশ অধৈর্য হয়ে উঠছেন। তাঁরা আর বাড়ি থাকতে রাজি নন। হয়তো কিছুটা মরিয়াও হয়ে উঠেছেন। মার্কিন মুলুকে যেমন কিছু রাজ্যে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের সুরে জানিয়ে দেন তাঁরা আর ঘরে থাকবেন না। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা। আর সেখানেই মার্কিন সরকার এবার মৃত্যু মিছিলের মাঝেই একটু একটু করে দেশের লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
করোনার জেরে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে ইউরোপও। ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, ব্রিটেন সহ অন্য দেশগুলির পরিস্থিতি খারাপ। তবু করোনা উপেক্ষা করে এবার একটু একটু করে দেশে কাজকর্ম শুরুর রাস্তায় হাঁটার বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে তারা। ব্রিটেন তো সামনের সপ্তাহেই লকডাউন শিথিল নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। অর্থনীতির থমকে যাওয়া চাকা ফের একটু একটু করে ঘোরাতে চাইছে প্রশাসনগুলি। করোনার সঙ্গে লড়াই করতে করতেই উপযুক্ত রণনীতি সাজিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে মুখিয়ে আছে গোটা বিশ্বই।
বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন আড়াই লক্ষের ওপর মানুষ। সোমবার মৃত্যু মিছিল আড়াই লক্ষ পার করে গেছে। অন্যদিকে আক্রান্ত ৩৬ লক্ষ ১৩ হাজার মানুষ। সোমবার তুলনায় কিছুটা করে কমেছে ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনের একদিনে মৃতের সংখ্যা। অন্যদিকে রাশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে। জাপান আবার দেশে জরুরি অবস্থা ৩১ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। সব মিলিয়ে করোনাকে আপাতত সঙ্গী করেই একটু একটু করে কাজকর্ম শুরুর পথ খুঁজে পেতে মরিয়া প্রায় সব দেশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা