নির্বাচনের জন্য পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে এদিন নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এদিন কমিশনে যাওয়ার আগে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত একটি মিছিল করে তারা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই মিছিলে যোগ দেয় যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরাও। গত বৃহস্পতিবার থেকেই ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা যাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সব গেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন উপাচার্য সুগত মারজিত। সন্ধের পর তাঁকে হেঁটে কফি হাউস পর্যন্ত এসে পুলিশের গাড়িতে বাড়ি ফিরতে হয়। সে কথা মাথায় রেখে এদিন সকাল থেকেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনের এদিন কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের এই বিক্ষোভ আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা বলে দাবি করেন তিনি। এই বিক্ষোভে যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের একাংশের মদত ছিল বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।