১৯৯৫ সালে রুপোলী পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল ‘রঙ্গিলা’। সেবছর আরব সাগরের বুকে ওঠা বাঁধভাঙ্গা জলোচ্ছ্বাসে ভিজেছিল মুম্বইসহ গোটা দেশ। উত্তাল সামুদ্রিক হাওয়ায় অবাধ্য স্কার্টের মত পুরুষদের মরুহৃদয় উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এক তন্বী। ‘তনহা তনহা ইঁয়াহ পে জিনা’-র গানের তালে তালে শরীরী বিভঙ্গে ঢেউ তোলা ‘রঙ্গিলা’। ২০০৮ সালে হিমেশ রেশমিয়া অভিনীত ‘কর্জ’ ছবিতে যাঁকে শেষবারের মত দেখেছিলেন দর্শক। সুপারফ্লপ ‘কর্জ’-এ যদিও ম্যাজিক দেখাতে পারেননি উর্মিলা। তারপর ১০টা বছর কেটে গেছে। ভক্তরা একপ্রকার ভুলেই গিয়েছিলেন তাঁদের একসময়ের মানস সুন্দরীকে। অনেকে তো ভেবেই নিয়েছিলেন, আর বুঝি বলিউডে ফিরল না রঙ্গিলার জলবা। তবে তিনি দেখিয়ে দিলেন, এভাবেও ফিরে আসা যায়। হঠাৎ করে বিরহী প্রেমিকের মনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া যায় ‘বেওয়াফা বিউটি’ দিয়ে। মোহময়ী হাসি আর ‘কিলার’ চোখের জমা বারুদে স্ফুলিঙ্গ ধরানো যায়। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ৯০-এর দশকে।
২০১৮-র ‘গ্র্যান্ড কামব্যাকে’ আগুন নয়, একেবারে বর্ণময় ব্লাস্ট ঘটালেন উর্মিলা মাতন্ডকর। বয়স ৪০-এর কোঠা পেরিয়েছে তো কি! দর্শকের বুকে তুফান তুলতে যথেষ্ট তাঁর একটা ‘ঠুমকাই’। দীপিকা, জ্যাকলিন, সানি লিওন, চিত্রাঙ্গদা, বলিউড এখন আইটেম ডান্সে ঝকঝকে নতুন মুখ ব্যবহার করতেই অভ্যস্ত। কিন্তু ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’। সে কথাই যেন মনে করিয়ে দিলেন পরিচালক অভিনব দেও। তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ব্ল্যাকমেল’-এ ডান্স ফ্লোরে আগুন ধরাতে ঝুঁকি নিয়ে তিনি ভরসা রাখলেন উর্মিলাতেই। পাবনি পাণ্ডের গাওয়া ‘বেওয়াফা বিউটি’ গানে সশরীরে হাজির হয়ে উর্মিলাও নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, এখনও তিনি ফুরিয়ে যাননি। রূপোলী আর বেগুনি রঙের শাড়িতে তাঁর কোমরের মোচড় এখনও জেন ওয়াই প্রজন্মের বুকে আগুন ধরাতে যথেষ্ট। ‘বেওয়াফা বিউটি’-র টিজারে হুহু করে বেড়ে চলা লাইক তারই জানান দিচ্ছে।