জীবনে সাফল্যের বৃত্তে একটা কালো দাগ সেই পড়েই গেল। সর্বাঙ্গ সুন্দর হতে হতেও শেষ মুহুর্তে তা হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রণা যে তাঁকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে তা আর কেউ না জানুক বোল্ট জানেন।
উসেইন বোল্ট। জামাইকার এই আশ্চর্য মানুষটা সারা বিশ্বকে বার বার চমকে দিয়েছেন তাঁর অতিমানবিক গতির জন্য। ট্র্যাকে ছুটতে শুরু করলে বিদ্যুতের ঝলকানির মত এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যান তিনি। চোখের পাতা পড়লেও দর্শকদের মিস হয়ে যায় তাঁর অসামান্য দৌড়। সেই উসেইন বোল্ট হারতে শেখেননি। যখনই ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে তাঁকে দৌড়তে দেখা গেছে, তখনই প্রথম হয়েছেন এই মহাতারকা।
তাঁর বয়স হচ্ছে। তাই রেকর্ড সময় করে অলিম্পিকে হেলায় সোনা জেতা বোল্ট লন্ডন মিটের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এটাই তাঁর শেষ পেশাগত দৌড়। এই প্রতিযোগিতার পর পেশাগত দৌড় থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। চিরকালই বিশ্বের দ্রুততম মানুষটা ১০০ মিটারে ভেল্কি দেখিয়েই স্বনামধন্য হন। তাই লন্ডনে ১০০ মিটারে জীবনের শেষ দৌড়েও তিনি সেরা করে ১০০ মিটারে কখনও না হারার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখেই বিদায় নেবেন বলে ধরে নিয়েছিলেন সকলে।
কিন্তু এবার হিট থেকেই কিছুটা নড়বড় করছিলেন বোল্ট। নিজের রেকর্ড সময়ের ধারে কাছেও যেতে পারেননি। একই অবস্থা হয় সেমিফাইনালে। ফলে ফাইনাল নিয়ে চিন্তা ছিল। সেই চিন্তাই সঠিক প্রমাণিত হল। জীবনের শেষ ১০০ মিটার দৌড়ে হেরে গেলেন বোল্ট। ৩ নম্বরে শেষ করলেন দৌড়। এই যন্ত্রণা তাঁর সারা জীবন থেকে যাবে। সাফল্যের সরণিতে একটা খোঁচার মত চিরকাল হয়তো খচখচ করবে বোল্টের মনে।