২০০৯ সালে গুহায় ঢুকেছিলেন যুবক, তারপর থেকে সেখানে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ
২০০৯ সালে গুহাটায় ঢুকেছিলেন তিনি। তারপর থেকে তিনি সেখানেই রয়ে যান। তাঁর প্রবেশের পর থেকে ওই গুহায় সাধারণের প্রবেশ নিষেধ হয়ে যায়।
একটি দক্ষিণী সিনেমা মঞ্জুমল বয়েজ বক্স অফিসে বেশ আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি সেই সিনেমা আদপে দক্ষিণ ভারতের কোদাইকানালের কাছে গুনা গুহার একটি ঘটনা তুলে ধরেছে।
সেখানে একদল যুবকের গুনা গুহায় যাওয়া এবং সেখানে এক যুবকের একটি গর্তে পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে কাহিনি এগিয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই যুবককে ভাগ্যক্রমে উদ্ধার করা গেলেও প্রায় তেমনই একটি ঘটনা ঘটে আমেরিকার ইউটা-র নাটি পুটি গুহায়।
২৬ বছরের যুবক জন এডওয়ার্ড অন্যদের সঙ্গে ২০০৯ সালে নাটি পুটি গুহায় প্রবেশ করেন। সেখানে একটি সংকীর্ণ গুহাপথ যা নিচের দিকে নেমে গেছে এবং যা সোজা নয় অনেক বাঁক নিয়েছে নিচের দিকে, সেখানে ঢোকেন।
কোনওভাবে এরপর তাঁর দেহ বেঁকে টেরে আটকে যায় অতি সংকীর্ণ সেই অন্ধকূপে। এতটুকু দেরি না করে উদ্ধারের সবরকম চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু প্রায় একদিন ধরে নিরলস চেষ্টার পরেও কোনওভাবেই তাঁর দেহ বাইরে বার করে আনা সম্ভব হয়নি।
দীর্ঘসময় কেটে যাওয়ার পরও তাঁকে বার করতে না পারার পর অবশেষে এটা নিশ্চিত হয় যে জনকে আর বার করা সম্ভব নয়। ওই মাথা নিচে পা উপরে অবস্থায় তাঁর জীবন শেষ হয়ে যায়।
পরে তাঁর পরিবারের অনুমতি নিয়ে স্থির হয় জনের দেহ ওখানেই চিরদিনের জন্য থেকে যাবে। কারণ তা বার করা অসম্ভব। এটাও স্থির হয় যে ওই গুহামুখকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সেইমত ওই গুহামুখ সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়। যার পিছনে চিরতরে থেকে যায় জন এডওয়ার্ডের দেহ। এই ঘটনা আজও মুখে মুখে ঘোরে।
সেই সময় এই ঘটনা বিভিন্ন সংবাদপত্রে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ওই ঘটনার পর নাটি পুটি গুহা স্থানীয়দের কাছে এক ভয়ংকরের নাম। এই ঘটনা অবলম্বনে একটি সিনেমাও হয় হলিউডে। নাম ‘দ্যা লাস্ট ডিসেন্ট’।