
উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত মিলেছিল এগজিট পোলেই। কিন্তু হল সাইক্লোন! নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে গো বলয়ের অন্যতম রাজ্য দখলে নিল বিজেপি। ১৯৯১-তে রামমন্দির ইস্যুকে সামনে রেখেও এমন ঝড় দেখতে পাওয়া যায়নি। এত আসন তখনও জিততে পারেনি বিজেপি। এবার কেবল মোদী ম্যাজিকে যা সম্ভব হল।
কোথায় না থাবা বসিয়েছে বিজেপি? উত্তরপ্রদেশের ভোটব্যাঙ্কে কোথাও সংখ্যালঘুদের দাপট, তো কোথাও দলিতদের, কোথাও বা আবার যাদবদের। সকলকে অবাক করে এই তিন ধরণের ভোটব্যাঙ্কেই থাবা বসিয়েছে বিজেপি। জিতে নিয়েছে এসব এলাকা। রাহুল গান্ধী সহ স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেসের খাসতালুক খোদ রায়বরেলিতেই অধিকাংশ বিধানসভা আসন গেছে বিজেপির দখলে। এখানে অনেকেই বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার তাসকে সামনে আনছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল তাহলে সংখ্যালঘু এলাকাগুলো থেকে কিভাবে আসন ছিনিয়ে নিল বিজেপি। তাহলে কোথায় সমস্যা।
এক তো একটা শাসক বিরোধী হাওয়া উড়ছিল। তার ওপর সপা-কংগ্রেস জোটকে ভাল চোখে নেননি আমজনতা। তারুণ্যের জয়জয়কার করতে নেমে তরুণ ভোটেই ধাক্কা খেতে হয়েছে অখিলেশ-রাহুলকে। বরং একা মোদীর ইমেজ ম্যাজিক দেখিয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করেছেন নোট বাতিল গরিবের স্বার্থের কথা ভেবে করেছে বিজেপি। ফলে বিজেপির হাত ধরেই তাঁদের উন্নতি। এদিন সকালে ইভিএম খোলার পর থেকেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল বিজেপির পাল্লা ভারী। দিন যত গড়িয়েছে ততই বিজেপির পাল্লার ওজন বেড়েছে। অন্যদিকে খড়কুটোর মত উড়ে গেছেন কংগ্রেস, সপা, বিএসপি-র মত দলের প্রার্থীরা। জনাদেশে লুটিয়ে গেছে আঞ্চলিক রাজনীতির যাবতীয় ফান্ডা।
লখনউতে বিজেপি দফতরে যখন হোলির আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল গেরুয়া ফাগুয়ার রং খেলা। নাচ-গান-উল্লাস-মিষ্টিমুখ। তখন অন্য শিবিরগুলিতে আবীর কোণায় সরিয়ে হোলির প্রাক্কালে মুখ কালো করে বসে থাকতে দেখা গেছে কর্মী সমর্থকদের।