National

৫ মাস পর খুলল বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের দরজা, ভোরেই ভক্তের ঢল

রবিবার থেকে খুলে গেল মাতা বৈষ্ণোদেবীর মন্দির। রবিবার ভোরে দরজা খোলার পর থেকেই নামে ভক্তের ঢল।

জম্মু : করোনার কারণে গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই এক এক করে দেশের মন্দিরগুলির দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধ হতে শুরু করে। এরপর ২৫ মার্চ থেকে তো দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়ে যায়। জুনে ফের আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর এক এক করে মন্দিরের দরজা খুলতে শুরু করে। ভক্তরা ফিরতে থাকেন যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি পালন করে। কিন্তু এতদিন মাতা বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধই ছিল। অবশেষে ৫ মাস পর ফের খুলে গেল মন্দিরের দরজা। রবিবার ভোর ৬টায় মাতা বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের দরজা খুলে যায়।

কেন্দ্রশাসিত এলাকা জম্মু কাশ্মীরের ত্রিকূট পাহাড়ের ওপর অবস্থিত এই মন্দিরে দর্শনে অবশ্য যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। আপাতত কেবলমাত্র অনলাইনে রেজিস্টার করানো ভক্তরাই মন্দিরে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন। এখন প্রতিদিন ২ হাজার ভক্তকেই মন্দিরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। তার বেশি নয়। কাটরা থেকে ভাওয়ান হয়ে বনগঙ্গা, সঞ্জিছট হয়েই ভক্তদের মন্দিরে পৌঁছতে হবে। ওটাই রুট।


মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও ৯০ শতাংশ ভক্তকে জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা হতে হবে। ১০ শতাংশ কেবল অন্য প্রান্ত থেকে আসা মানুষ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ কিনা তার সার্টিফিকেট নিতে হবে। তা দেখেই মন্দিরে যাওয়ার অনুমতি পাবেন তাঁরা। জম্মু কাশ্মীরের ক্ষেত্রে রেড জোন থেকে আসা মানুষজনকে এই একই ভাবে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে তার সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।

রবিবার ভোর ৬টায় খোলে মন্দির। সামাজিক দূরত্ববিধিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া মন্দিরে প্রবেশের আগে সকলকে স্বয়ংক্রিয় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। হাতে নিতে হচ্ছে স্যানিটাইজার। যাবতীয় নিয়ম মেনে তবে মিলছে দর্শন। তাতেও কিন্তু রবিবার কাকভোর থেকেই ভক্তদের ঢল নামে মন্দিরে। মাতা বৈষ্ণোদেবীকে দর্শন করতে সব উপেক্ষা করেই ছুটে আসেন বহু মানুষ। গত ১৮ মার্চ ভক্তদের জন্য বন্ধ হয়েছিল এই মন্দিরের দরজা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button