গত সোমবার একটি চিঠি এসেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছেলের বাড়িতে। চিঠিটি এসেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের নামে। যদিও সেই সময় বাড়িতে ছিলেননা তিনি। স্বামীর অবর্তমানে চিঠিটি ‘রিসিভ’ করেন তাঁর স্ত্রী ভেনেসা ট্রাম্প। মাঝে মাঝেই তো এরকম কত চিঠি আসে তাঁদের ভিলায়। তাই সন্দেহ না করেই চিঠির খাম খুলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের পুত্রবধূ। খাম খুলতেই ভেনেসা ট্রাম্পের আঙুলে ঠেকে সাদা পাউডারের মতো খসখসে একধরণের গুঁড়ো। ‘সন্দেহজনক’ সেই গুঁড়োয় হাত পড়তেই ভয়ে কাঁটা হয়ে যায় তাঁর সারা শরীর! হঠাৎ কেমন শরীর খারাপ করতে থাকে তাঁর। মেয়ের শরীর খারাপ করতে দেখে ঘাবড়ে যান তাঁর মা। নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্য নিয়ে দ্রুত ভেনেসা ট্রাম্পকে ভর্তি করা হয় নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর এখন সুস্থ মার্কিন প্রেসিডেন্টের পুত্রবধূ। পরীক্ষা করা হয়েছে ভেনেসা ট্রাম্পের মা ও তাঁদের সঙ্গে আসা নিরাপত্তারক্ষীর স্বাস্থ্যও। কারণ, তাঁরাও তো হাত দিয়েছিলেন চিঠির খামে। প্রত্যেকেই অবশ্য সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ছেলে ও ছেলের পরিবারকে এইভাবে ভয় দেখানোয় যদিও বেজায় ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী।
যে চিঠি নিয়ে এত হইচই মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিবারে, সেই চিঠির খামটিকে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। বোস্টন পোস্টমার্কের চিঠির খামে পাওয়া ‘সন্দেহজনক’ পাউডারে নেই বিষাক্ত কোনও পদার্থের অস্তিত্ব। এবিষয়ে আশ্বস্ত করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। তবু গোটা ব্যাপারটিকে হালকাভাবে নিতে রাজি নন মার্কিন গোয়েন্দারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুবাদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুভানুধ্যায়ীর সংখ্যাও যেমন কম নেই, তেমনই অভাব নেই শত্রুরও। তাঁদেরই কেউ এমন ‘বদ রসিকতা’ করল কিনা তা খতিয়ে দেখছে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ। ম্যানহাটনের যে ভিলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছেলে থাকেন, তার কঠিন নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে চিঠিটি একেবারে অন্দরমহলে ঢুকে গেল কি করে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।