শ্মশান জলের জলায়। যেদিকে চোখ যাচ্ছে শুধু জল আর জল। কূল ছাপিয়ে গঙ্গা গ্রাস করেছে বারাণসীর সিংহভাগ। বারাণসীর একমাত্র শ্মশান মণিকর্ণিকা ঘাট বন্যার গ্রাসে। এই অবস্থায় মৃতদেহ সৎকার নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে পরিবারের লোকজনের। প্রথম দিকে উপায়ান্তর না দেখে বাধ্য হয়েই প্রিয়জনকে দাহ করার জন্য শহরের যেখানে একটু জমি দেখা যাচ্ছিল সেখানটাই বেছে নিচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু এতে সমস্যা বাড়ছিল। তাই অস্থায়ী শ্মশান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে গঙ্গার ধারের পুরনো বিশাল বিশাল বাড়ির ছাদ। প্রশাসনও বাধ সাধেনি।
গঙ্গার তীরবর্তী পুরনো অট্টালিকাগুলির ছাদই এখনও মৃতদেহ সৎকারের একমাত্র ভরসা। কিন্তু চিন্তা অন্য। আপাতত ছাদগুলি সৎকারের কাজে ব্যবহার হলেও পরে জল নামলে এসব বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য বিষয়টি কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শবদাহ নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছে এলাহাবাদেও। এখানে শ্মশান হিসাবে পরিচিত দ্বারগঙ্গা ঘাট প্লাবিত। ফলে তার কাছেই একটি জনবহুল এলাকায় আপাতত চলছে মৃতদেহ সৎকারের কাজ। উত্তরপ্রদেশ, বিহারে একটানা বৃষ্টির জেরে গঙ্গা সহ বহু নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ২টি রাজ্য মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। শুধু উত্তরপ্রদেশেরই লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত। এই অবস্থায় হিন্দু রীতি মেনে মৃতদেহ সৎকার নিয়ে সমস্যায় পড়েছে প্রশাসন।