তনুশ্রী দত্ত যা করছেন তার জন্য তাঁর সাহসের প্রশংসা করতে হয়। এ ধরণের কথা সামনে আনতে সাহসের দরকার হয়। তাঁর মনে হয় যখন কেউ এমন কোনও বিষয় নিয়ে কিছু বলছেন, তখন তা শোনা উচিত। সোমবার এভাবেই তনুশ্রী দত্তের পাশে দাঁড়ালেন বরুণ ধাওয়ান। তরুণ এই অভিনেতা আরও বলেন, তিনি মনে করেন যে কোনও কর্মস্থলেই সহকর্মীদের একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। তা সে তিনি পুরুষ হোন বা মহিলা হোন বা বাচ্চা।
২০০৮ সালে সিনেমার সেটে নানা পাটেকর তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন। প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ করে রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। এই বাঙালি অভিনেত্রী একসময়ে বলিউডে একের পর এক সিনেমা করলেও দীর্ঘদিন বলিউডে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে ২০১৮-তে মুখ খুললেন তিনি। তাঁর দাবি, নানা তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছেন। বিশ্ব জুড়ে হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনে একের পর এক মুখ খুলছেন অভিনেত্রীরা। জানাচ্ছেন তাঁদের ব্যক্তিগত খারাপ অভিজ্ঞতার কথা। প্রকাশ্যে নাম ধরে জানাচ্ছেন তাঁর সঙ্গে কে কেমন আচরণ করেছিলেন। কীভাবে তাঁদের যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল।
সেই তালিকায় নবতম নাম তনুশ্রী দত্ত। যিনি প্রকাশ্যেই নানা পাটেকর সম্বন্ধে মুখ খুলেছেন। যদিও তিনি মুখ খোলার পর কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়া বা অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত তাঁর বিরুদ্ধেই মুখ খোলেন। কিন্তু এবার তিনি কাউকে পাশে পেলেন। তিনি বরুণ ধাওয়ান। ইন্ডাস্ট্রির নতুন হার্টথ্রব।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)