থানায় বন্দিদের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে প্রাণ গেল ৬৮ জনের। যাদের মধ্যে পুড়ে মৃত্যু হয় ২ মহিলার। গত বুধবার রাতে ভেনিজুয়েলার কারবোবো থানায় আগুন লেগে যায়। গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরেই বুধবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে থানার পরিবেশ। ঝামেলার ফাঁকে কোনও এক বন্দি পালাতে গিয়ে কর্তব্যরত এক পুলিশ আধিকারিকের পায়ে গুলি ছোঁড়ে। এরপরেই থানার মেঝেতে পাতা মাদুরে আগুন ধরিয়ে দেয় বিদ্রোহী বন্দিরা। নিমেষে সেই বিধ্বংসী আগুন ছড়িয়ে যায় গোটা থানায়। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজন বন্দির। কালো ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরও কয়েকজনের। পরে দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে থানার সিংহভাগ অংশ। চামড়া পোড়ার উৎকট গন্ধে দমবন্ধ হয়ে আসার জোগাড় হয় পুলিশের। রাতভর পুড়ে যাওয়া কয়েদিদের শরীর ও আহতদের উদ্ধার করা হয়।
আগুন লাগার খবর পেতেই কারবোবো থানায় এসে ভিড় জমান বন্দিদের উদ্বিগ্ন আত্মীয়রা। বন্দিদের খোঁজ না পাওয়ায় তাঁরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ। ক্ষিপ্ত জনতার সঙ্গে পুলিশের একপ্রস্ত ধ্বস্তাধস্তিও হয়। পরে আরও পুলিশবাহিনী এসে অবস্থা সামাল দেয়।
থানার ভিতর এতগুলো মানুষের মৃত্যুর জন্য শোকপ্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এত বড় একটি থানা আগুনে প্রায় ভস্মীভূত হওয়ার ঘটনায় বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঠিক কি কারণে সংঘর্ষ থেকে এত বড় মাপের দুর্ঘটনা ঘটে গেল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।