শুক্রগ্রহে নতুন করে জমি তৈরি শুরু, খবর পেল নাসা
শুক্রগ্রহকে অনেকেই শুকতারা হিসাবে চেনেন। সন্ধের আকাশে চকচকে একটি স্থির আলো হয়ে দেখা দেয় শুক্র। সেখানে ফের শুরু হয়েছে নতুন জমি তৈরি।
পৃথিবীর ২ ধারে ২ নিকটতম গ্রহ হল মঙ্গল ও শুক্র। মঙ্গলগ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে মাতামাতি, মঙ্গলকে জানার আপ্রাণ চেষ্টা, যতটা জোরকদমে হয়, শুক্র নিয়ে কিন্তু সেই তৎপরতা চোখে পড়ে না। কারণ হয়তো শুক্রগ্রহের ভয়ংকর উত্তাপ।
সেখানে দূর থেকে ছবি তোলা যায়, কিন্তু শুক্রে যান নামানো এখনও কার্যত অসম্ভব। এতটাই গরম এই গ্রহ। শুক্রগ্রহকে বিজ্ঞানীরা ভাল করে জানতে পেরেছিলেন ম্যাগেলান মিশনের হাত ধরে।
১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে শুক্রগ্রহের ৯৮ শতাংশ মানচিত্র তৈরি করে ফেলে ম্যাগেলানের রাডার। সেখানে বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন শুক্রগ্রহের ২টি আগ্নেয়গিরি ৯০ দশকের শুরুতেই প্রচুর পরিমাণে লাভা উগরে দিয়েছিল।
২০২৩ সালে তাঁরা জানতে পারেন সেখানে ফের লাভা উগরে দেওয়া শুরু হয়েছে। গলিত এই লাভা শুক্রগ্রহে নতুন করে পাথর তৈরি করছে। যা শুক্রগ্রহের উপরিভাগ পরিবর্তন করছে। নতুন করে সেখানে জমি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। ম্যাগেলান মিশনের তথ্য পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এ সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন শুক্রগ্রহে যে আগ্নেয়গিরিগুলি খুবই সক্রিয় তা আগেই জানা ছিল। কিন্তু এতদিন যতটা সক্রিয় হিসাবে জানা ছিল তার চেয়েও অনেক বেশি সক্রিয় সেগুলি। যা নতুন করে জানতে পেরেছেন তাঁরা। লাভা স্রোতকে পরীক্ষা করে ইতালির মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।