শুকতারার মেঘে প্রাণের জীয়নকাঠির খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা
বিকেলে পশ্চিম আকাশে যে উজ্জ্বল আলোকবিন্দু নজর কাড়ে তা শুকতারা বলেই পরিচিত। যদিও তা তারা বা নক্ষত্র নয়, আদপে একটি গ্রহ।
পৃথিবীর একদিকে যেমন প্রতিবেশি গ্রহ মঙ্গল তেমনই অন্যদিকে প্রতিবেশি গ্রহ হল শুক্রগ্রহ। যাকে বাংলার মানুষ শুকতারা বলেই বেশি চেনেন। বিকেলে পশ্চিম আকাশে এই আলোকবিন্দু শুকতারা নামে পরিচিত। যা আদপে শুক্রগ্রহ।
সেই শুক্রগ্রহের মেঘে এবার জীবনের জীয়নকাঠির খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। যদিও শুক্রগ্রহের মেঘে এর আগেই ফসফিন নামে গ্যাসের সন্ধান মিলেছিল। তবে তা এবার আরও অনেকটা নিশ্চিতভাবে সামনে এল।
আরও দৃঢ়ভাবে শুক্রগ্রহের মেঘে ফসফিনের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। যা ইংল্যান্ডের হাল-এ রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক সোসাইটি-র সভায় বিজ্ঞাৱীরা দাবিও করেছেন।
এই ফসফিনকে বলা হয় জীবনের ছোঁয়া। পৃথিবীতেও জীবনের উৎস সন্ধানে ফসফিনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। জীবন থাকার সম্ভাবনার সেই ফসফিন এবার পাওয়া গেল শুক্রগ্রহের মেঘে।
তবে কি শুক্রগ্রহেও জীবনের খোঁজ পাওয়া যাবে? যদিও সে বিষয়ে এখনই হলফ করে কিছু বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। কারণ শুক্রগ্রহের মাটি এতটাই গরম যে সেখানে কোনও প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারেনা।
তবু এই ফসফিন একটা নতুন আশা জাগিয়ে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা সেই আশার আলোর পিছনেই আপাতত ছুটছেন। খুঁজে দেখছেন শুক্রগ্রহে কোনওভাবে জীবন থাকতে পারে কিনা।
পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলে পরিচিত শুক্রগ্রহের মেঘে এই ফসফিনের খোঁজ বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়া খবরে পরিণত হয়েছে।