SciTech

সূর্যালোক ও এই মন্দিরের ১২টি স্তম্ভের ঘটনা আজও এক রহস্য

মন্দিরে স্তম্ভ তো দেখাই যায়। ভারতীয় স্থাপত্যশৈলীতে স্তম্ভের ছোঁয়া নতুন নয়। কিন্তু এ মন্দিরের ১২টি স্তম্ভে সূর্যের আলো ঘটায় এক অদ্ভুত ঘটনা। কীভাবে তা আজও রহস্য।

প্রাচীন ভারতের এমন বহু শিল্পকীর্তি রয়েছে যা কেবল তার বিশালত্ব বা নিখুঁত শিল্পকর্মের জন্যই নয়, তার বিজ্ঞানের জন্যও সারা বিশ্বে চর্চিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এমনই একটি মন্দির তার শিল্পকীর্তিতে জুড়ে দিয়েছে এক অসামান্য বিজ্ঞান। যা আজও এক রহস্য হয়ে থেকে গেছে।

মন্দিরটি বিশাল। মোট ১২টি স্তম্ভ রয়েছে এ মন্দিরে। মন্দিরের গায়ে রয়েছে শিল্পের দৃষ্টিনন্দন কাজ। কিন্তু এ মন্দিরের দিকে আজও সকলে অবাক চোখে চেয়ে থাকেন তার স্তম্ভের ওপর সূর্যের আলোর কিরণের জন্য।


মন্দিরের ১২টি স্তম্ভের প্রতিটিতে ১ মাস করে পড়ে সূর্যের আলো। ১২ মাসে ১ বছর হয়। প্রতি স্তম্ভে ঠিক ১ মাস করে সূর্যের কিরণ পড়ার পর ১ মাস হয়ে গেলেই তার পাশের স্তম্ভে সূর্যের আলো পড়া শুরু হয়। আর যে স্তম্ভে আলো পড়ছিল, ১ মাস হয়ে যাওয়ার পর দিন থেকে তাতে আর সূর্যের আলো পড়েনা। থাকে ছাওয়া।

এমন করে প্রতিটি স্তম্ভে ঠিক ১ মাস করেই সূর্যের কিরণ কীভাবে পড়ে সেটা আজও অবাক করে। এই স্তম্ভগুলিকে বলা হয় রাশি স্তম্ভ।


১২টি রাশি রয়েছে। প্রতিটি স্তম্ভ একটি করে আলাদা রাশিকে চিহ্নিত করে। দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্যের এ এক অনন্য নিদর্শন। এ মন্দির নির্মাণে শুধু শিল্প নয়, যাঁরা নির্মাণ করেছিলেন তাঁদের জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্বন্ধেও যথেষ্ট জ্ঞান ছিল।

কীভাবে এমন নিখুঁতভাবে ১২টি স্তম্ভে ঠিক ১ মাস করেই সূর্যের আলো পড়ে তা আজও মানুষের কাছে এক বিস্ময়। কর্ণাটকের চিকমাগালুর জেলার সিঙ্গেরি শহরের বিদ্যাশঙ্কর মন্দিরে তাই কেবল দেশ নয়, বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক হাজির হন তার এই আশ্চর্য দ্বাদশ স্তম্ভ দর্শন করার জন্য।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button