তাঁর মাথার ওপর ঝুলছে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক মিলিয়ে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির অভিযোগ। বারবার তাঁকে ইডি নোটিস পাঠালেও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া দেশে ফেরেননি। অথচ তাঁকে ইংল্যান্ডে বারবার দেখা গেছে। সিবিআই তাঁকে দেশে ফেরানো নিয়ে ইংল্যান্ডের আদালতে আবেদন জানায়। ইংল্যান্ডের আদালতে তার মামলা চলছে। সেই বিজয় মালিয়া এতদিন সেভাবে মুখ খোলেননি। কিন্তু এদিন খুললেন। আর যখন খুললেন তখন রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিলেন। এদিন লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে মালিয়া দাবি করেন তাঁর জেনেভায় বৈঠক ছিল। সেজন্য ভারত ছাড়ার আগে তিনি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গেই দেখা করেছিলেন। দেখা করে ঋণখেলাপির বিষয়গুলি ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে মিটমাট করে নিতে চান। বারবার সে বিষয়ে অফারও করেন। আর সেটা সত্যি। বিজয় মালিয়ার এই বক্তব্যের ভিডিও এখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিজয় মালিয়ার এই বিস্ফোরক দাবি সামনে আসতেই কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধীরা হাতে তুরুপের তাস পেয়েছে। ২০১৯-এর আগে পেট্রোপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে চাপে থাকা বিজেপি শিবিরকে আরও বেকায়দায় ফেলার জন্য এদিনের মালিয়ার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি যথেষ্ট। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস দাবি করেছে যে বিজয় মালিয়ার মত এমন অসাধু ব্যক্তিদের অসাধু কাজে সরকার জড়িত। কংগ্রেস অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বিজয় মালিয়ার কথাবার্তার বিস্তারিত তথ্য সামনে আনার দাবি করেছে। সেইসঙ্গে তাদের দাবি, কীভাবে মালিয়াকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হল তা সকলকে জানাক কেন্দ্র।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী। সোশ্যাল সাইটে করা পোস্টে অর্থমন্ত্রী পাল্টা দাবি করেছেন, বিজয় মালিয়ার দাবি একেবারেই মিথ্যা। এতে সত্য কোনওভাবেই প্রতিফলিত হচ্ছেনা।