বড়সড় সাফল্য পেল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বারবার বিজয় মালিয়াকে দেশে ফিরে তাদের আধিকারিকদের সম্মুখীন হতে নোটিস পাঠালেও ইডি-র সেই নোটিসকে অগ্রাহ্য করেন লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগ ছিল। এই টাকা অদেয় রেখেই দেশ ছেড়ে পালান তিনি। সকলেই জানেন তিনি এখন লন্ডনে রয়েছেন। তাঁকে ফেরাতেও চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই ও ইডি। এই অবস্থায় বারবার তাদের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় ২০১৮ সালের জুনে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে মামলা করে ইডি। সেই মামলায় ২০১৯ সালের শুরুতে রায় জানাল আদালত। শনিবার আদালত তাদের রায়ে লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়াকে পলাতক বলে ঘোষণা করে। এখন প্রশ্ন হল এই পলাতক ঘোষণার মানে কী? আদালত কাউকে ‘পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী’ ঘোষণা করার পর মামলাকারী সংস্থা একটি বিশেষ ক্ষমতা হাতে পায়। তারা চাইলে ওই ব্যক্তির সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার পেয়ে যায়। যা দিয়ে বকেয়া মেটানো হবে। ফলে এখন বিজয় মালিয়ার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা হাতে পেল ইডি।
এই ঘোষণার পর বিজেপি আদালতের এই নির্দেশ লুফে নিয়েছে। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন ‘পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী’ আইনই মোদী সরকার নিয়ে এসেছে। যে আইন এদিন বিজয় মালিয়াকে ‘পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী’ বলে চিহ্নিত করল। ফলে এটা বিজেপির জয়। সেইসঙ্গে কংগ্রেসকেও তোপ দাগতে ছাড়েননি সম্বিত। তাঁর দাবি, ইউপিএ সরকারকে বুঝিয়ে পুরনো ঋণ বাকি রেখেই নতুন ঋণের ব্যবস্থা করেছিলেন বিজয় মালিয়া।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)