এ কেমন শখ, তেল মেখে চড়া রোদে ৩ ঘণ্টা ছাদে কাটাতেন টুয়েলভথ ফেল-এর অভিনেতা
এ কেমন শখ? যেখানে চড়া রোদ থেকে বাঁচতে মানুষ ছায়া খোঁজেন, সেখানে তিনি কিনা রোদে বসে থাকতেন ছাদে উঠে। তাও আবার অভিনেতা হয়ে।
অভিনেতারা তাঁদের চেহারা, দর্শনে বিশেষ জোর দেন। ক্যামেরার সামনে যাতে তাঁদের সবচেয়ে ভাল লাগে সেদিকে নজর রাখতে তাঁরা অনেক খরচও করেন। খুব দরকার ছাড়া রোদ থেকে দূরে রাখেন নিজেদের।
সেখানে বক্স অফিসে তোলপাড় ফেলা সিনেমা টুয়েলভথ ফেল-এর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা বিক্রান্ত ম্যাসি উল্টোটা করতেন। ভাল করে তেল মেখে তিনি গিয়ে বসে থাকতেন চড়া রোদে। তাও আবার চম্বলের। যেখানকার গরম মানুষের চামড়া পুড়িয়ে দেয়।
সেখানে গায়ে তেল মেখে ছাদে উঠে চড়া রোদে বসে থাকতেন বিক্রান্ত। সামান্য কিছু মিনিট নয়, টানা ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বসে থাকতেন বিক্রান্ত। এমনভাবে প্রায় ২০-২২ দিন চালান। এটা যে কতটা কষ্টকর তা অনুমেয়। কিন্তু বিক্রান্ত সেটাই করে চলেন।
কেন এমন আজব কাণ্ড? টুয়েলভথ ফেল আইপিএস হতে চাওয়া এক দরিদ্র পরিবারের লড়াকু ছেলের কাহিনি। চম্বলের এক তরুণের কঠিন লড়াই ফুটে উঠেছে সেলুলয়েডের পর্দায়।
যেহেতু বিক্রান্ত চম্বলের সেই তরুণ মনোজ কুমার শর্মার চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন, তাই বিক্রান্ত ওই ব্যক্তির কথা বলার ধরণ, চম্বলের কথার টান এবং সেখানকার মানুষজনের রোদে পোড়া চেহারাটার ওপর জোর দিতে চেয়েছিলেন।
বিক্রান্ত চাননি মেকআপ করে ব্রোঞ্জর ব্যবহার করে চামড়ার রং তামাটে করতে। বরং তা চম্বলের রোদে তেল মেখে বসে নিজের দেহে বাস্তবেই তৈরি করে নিয়েছিলেন।
সিনেমায় তাঁর গায়ের রং কিন্তু বিশেষভাবে নজর কাড়ে দর্শকদের। তা বাহবাও পায়। যা কোনও মেকআপ নয় এক অভিনেতার কঠিন অধ্যবসায়ের ফল। চরিত্রে সম্পূর্ণভাবে প্রবেশ করে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছার প্রতিচ্ছবি।