তাঁর অভিনয়ের ‘ম্যানারিজম’ দাগ কেটেছে দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচকদের মনে। তাঁর নাম জানেন না এমন ভারতীয় দর্শক মেলা ভার। ৪৭ বছরের কেরিয়ারে অবশ্য কাজের তুলনায় পুরস্কার তেমন মেলেনি। মাত্র দু’বার ফিল্মফেয়ার জিতেছেন তিনি। ভারতীয় সিনেমার সেই সৌম্যদর্শন নায়ক বিনোদ খান্না তাঁর মৃত্যুর পর পেলেন জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কারটা। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য ২০১৮ সালের ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার প্রদান করা হল তাঁকে। পেলেন ভারতীয় সিনেমা জগতের সবথেকে বড় সম্মান। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। বিনোদ খান্না হলেন এই বিরল সম্মানে ভূষিত ৪৯ তম সিনেমা ব্যক্তিত্ব। তবে আক্ষেপ একটাই। এতবড় সম্মানপ্রাপ্তিটা দেখে যেতে পারলেন না তিনি।
বলিউডের সৌম্যদর্শন অভিনেতা বিনোদ খান্না বলিউডে পা রাখেন ১৯৬৮ সালে ‘মন কা মিত’ সিনেমায়। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় দিয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও পরে নায়ক হয়েছেন একের পর এক ছবিতে। নেগেটিভ চরিত্রে ‘পূরব অউর পশ্চিম’, ‘সচ্চা ঝুঠা’, ‘মস্তানা’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘এয়লান’-এর মতো ছবিতে অভিনয়ের পর ১৯৭১ সালে নায়ক হিসাবে ‘হম তুম অউর ওহ’ সিনেমায় ব্রেক পান বিনোদ। বিনোদ খান্নাই বোধহয় বলিউডের একমাত্র নায়ক যিনি কেরিয়ারের চূড়ায় থাকতে থাকতে বিরতিতে চলে যান। ধার্মিক ভাবনায় আকৃষ্ট হয়ে তিনি বহুদিন সিনেমা থেকে দূরে থাকেন। পরে ফের সিনেমায় ফেরত আসেন। দাপটের সঙ্গে অভিনয়ও চালিয়ে যান। ২০১৫ সালে ‘দিলওয়ালে’ সিনেমায় শেষবার দেখা গিয়েছিল বিনোদ খান্নাকে। জীবনে প্রায় ১৪০টি ছবিতে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করেছেন সুঠাম চেহারার এই অভিনেতা। ২০১৭-র ২৭ এপ্রিল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ক্যান্সার আক্রান্ত বিনোদ খান্না।