১৯ বছর আগের কথা। অলোক নাথ তখন টিভি তারকা। তিনি নিজে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত। একদিন রাত ২টো পর্যন্ত পার্টি করার পর যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন তাঁর শরীর আর চলছিল না। তাঁর ধারণা, তাঁর পানীয়তে সেদিন কোনও মাদক মেশানো হয়েছিল। রাস্তায় আচমকাই গাড়ি নিয়ে পাশে এসে দাঁড়ান অলোক নাথ। বলেন গাড়িতে উঠে আসতে। বাড়ি পৌঁছে দেবেন। তাঁর তখন প্রায় অচেতন অবস্থা। এরপর নিজের বাড়িতে যখন পরদিন দুপুরে তাঁর ঘুম ভাঙে তখন শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা। নিম্নাঙ্গে ব্যথা। বুঝতে পারেন তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে।
সব কথা কয়েকজন বন্ধুকে খুলে বলেন তিনি। কিন্তু তখন সকলেই তাঁকে বিষয়টা ভুলে গিয়ে জীবনে এগিয়ে চলার পরামর্শ দেন। তখন সেই পরিস্থিতিও ছিলনা যে তিনি অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনবেন। তারপর থেকে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করেছেন। আর এখন সেই সময় এসেছে মুখ খোলার। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অকপটে এমনই দাবি করলেন লেখিকা তথা প্রযোজক বিনতা নন্দা।
তাঁর দাবি, পর্দায় একজন সংস্কারী হিসাবে অলোক নাথকে তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর মধ্যে ভারতীয় এক সংস্কারী মানুষকে বারবার দেখতে পাওয়া গেছে। কিন্তু বাস্তব জীবনে অভিনেতা অলোক নাথ তা নন। অলোক নাথের বিরুদ্ধে ১৯ বছর আগে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন বিনতা।
বিনতা এদিন তনুশ্রী দত্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এভাবে যাঁদের বিভিন্ন সময়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে এসে নানা লাঞ্ছনা, অপমান, যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাঁদের সকলকে এগিয়ে এসে মুখ খোলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যদিও বিনতার এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন অভিনেতা অলোক নাথ। তাঁর পাল্টা দাবি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নেহাতই অবাস্তব। বরং আজ বিনতা যেখানে পৌঁছেছেন তা তাঁরই জন্য। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, না তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন, না এরসাথে সহমত হচ্ছেন। অলোক নাথের দাবি, নিশ্চয়ই এমন কিছু ঘটেছে। তবে তা তিনি করেননি। অন্য কেউ করেছে। পাশাপাশি অলোক নাথের দাবি, এমন ক্ষেত্রে আমরা মহিলাদের দাবিকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কারণ তাঁদেরই সমাজ দুর্বল বলে মনে করে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)