সারা দেশ জুড়েই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তুলকালাম চলছে। কেউ সমর্থন করছেন। কেউ চরম বিরোধিতা। বিরোধিতা তো অনেক জায়গায় চরম আকার নেয়। যার জেরে মৃত্যুও হয়েছে। এ বিষয়ে তাঁর মতামত কী? ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা।
তিনি কী সিএএ সমর্থন করেন। নাকি এর বিরোধী। প্রশ্নটি আসে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের ঠিক আগের দিন। প্রশ্ন করাও হয় সেই রাজ্যে যেখানে প্রথম সিএএ নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। বলা ভাল যখন সিএএ ছিল সিএবি তখন থেকেই অসমে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চরম আকার নেয়।
বিরাট কোহলি সিএএ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যথেষ্ট সতর্ক বক্তব্য পেশ করেছেন। বিরাট বলেন, সিএএ-এর কেউ বিরুদ্ধে বলছেন। কেউ সমর্থনে বলছেন। তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ জানেন না। তিনি আগে পুরো বিষয়টি জানতে চান। এতে কী হবে জানতে চান। আইনটি ঠিক কী বলছে তা জানতে চান।
বর্তমানে বিষয়টি সম্বন্ধে তাঁর ধারণাই পরিস্কার নয় যে সিএএ হলে কী হবে। আর যে বিষয় সম্বন্ধে তাঁর পরিস্কার জ্ঞানই নেই সে সম্বন্ধে হুট করে তিনি কোনও মন্তব্য পেশ করতে চান না। আগে পুরো বিষয়টি তিনি জানবেন। তারপরই তাঁর মতামত তিনি প্রকাশ্যে জানাবেন বলে উত্তর দেন বিরাট কোহলি।
রবিবার প্রথম টি-২০-তে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। খেলাটি হবে গুয়াহাটিতে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিল থাকাকালীনই তা নিয়ে প্রথম উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে অসমে। গুয়াহাটিতেও এর বিরুদ্ধে বহু মানুষ পথে নামেন। সোচ্চার আন্দোলন হয়।
পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে। পরে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর তা ক্রমশ সারা দেশে শোরগোল ফেলে দেয়। বিরোধীরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। কেন্দ্র পাল্টা সিএএ কেন দরকার তা বোঝানোর চেষ্টা করছে সকলকে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিরাটের এই কৌশলী উত্তরের প্রশংসাই করছে ক্রীড়া জগত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা