Sports

বিরাট কোহলিকে নোটিস পাঠাল আদালত

এবার আইনি সমস্যায় পড়লেন বিরাট কোহলি। তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে কেরালা হাইকোর্ট। একটি বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করেই এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।

তিরুবনন্তপুরম : পরিশ্রম করে খেলাধুলোর অভ্যাস এখন বেশিরভাগ মানুষই ত্যাগ করেছে। আজকাল ক্রিকেট বা ফুটবলের মাঠগুলো ছোট হতে হতে মোবাইলের ৬ ইঞ্চির স্ক্রিনের মধ্যে দিব্যি এঁটে গেছে। ধুলো না উড়লেও খেলা এখনও চলে। তবে তা চলে আঙ্গুলের ইশারায়।

মোবাইল গেমগুলো যত আকর্ষণীয় হচ্ছে তত তার থেকে ঝুঁকির সম্ভাবনাও বাড়ছে। আজকাল বিভিন্ন গেম-এর সাথে যুক্ত হয়েছে অর্থলাভের সুযোগ। তাতেই মজেছে নবীন প্রজন্ম।


বিভিন্ন মোবাইল গেম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি সহজে আয়ের লোভ দেখিয়ে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করছে। এই জন্য তারা সাহায্য নিচ্ছে বিভিন্ন পরিচিত ব্যক্তিত্বের। যাঁরা এর প্রচার করছেন ও গেম খেলার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করছেন। কিন্তু এর ফল হচ্ছে অনেক সময় মারাত্মক।‌

একটি অনলাইন মোবাইল গেম ‘অনলাইন রামি’ ব্যান করবার জন্য আবেদনপত্র জমা পড়ে কেরালা হাইকোর্টে। অভিযোগ করা হয়েছে এই গেমটি খেলতে গিয়ে বহু মানুষ বিপুল অঙ্কের টাকা খুইয়েছেন, ফলে হতাশ হয়ে তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজের প্রাণ শেষ করে দেওয়াকেই সঠিক পথ বলে মনে করেছেন।


আবেদনের ভিত্তিতে বুধবার এই গেমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নোটিস পাঠাল আদালত। বিরাটের সঙ্গে এই গেমের আরও ২ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া ও অভিনেতা আজু ভার্গিসের নামেও নোটিস পাঠিয়েছে কেরালা হাইকোর্ট।

কেরালা হাইকোর্টে যে আবেদনকারীরা আবেদনপত্র জমা দেন এই অনলাইন রামি নামে মোবাইল গেমটি ব্যান করার জন্য তাঁদের বক্তব্য, এই সমস্ত গেমের প্রচারক যে সব সেলেব্রিটি তাঁরাও এই গেমের মারাত্মক পরিণামের অংশীদার। কেননা তাঁরা তাঁদের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব দিয়ে মানুষকে আরও বেশি করে এই গেম খেলতে উদ্বুদ্ধ করছেন। গেমটি সম্পর্কে ও তার ফলাফল সম্পর্কে বিচার না করেই প্রচার করে তাঁরা আদতে মানুষের ক্ষতিই করেছেন। যার দায়ভার তাঁদেরও নেওয়া উচিত।

যুবক যুবতীরা এই গেমের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছেন। আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা আছে জানা সত্ত্বেও এর নেশায় ডুবে গিয়েছেন। এরফলে যাঁদের চরম আর্থিক লোকসান হয়েছে তাঁরা প্রাণত্যাগের পথ বেছে নিয়েছেন।

২ সপ্তাহ আগে তিরুবন্তপুরমের কুট্টিচলে ২৭ বছরের বিনীত ২১ লক্ষ টাকা খুইয়ে এই পথ বেছে নেন। অনলাইন রামি-র মারাত্মক নেশায় আক্রান্ত ৩২ বছর বয়সী সাজেশ জানিয়েছেন, তিনি ‘অনলাইন রামি’-তে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার লোকসান করেছেন।

তিনিও মনে করেন, বিরাট কোহলি, তামান্না বা আজু ভার্গিসের মতো ব্যক্তিত্বরা এই গেমের প্রতি তরুণ প্রজন্মের মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর মত বহু মানুষ এই গেম ব্যান করার জন্য সরব হয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button