ক্রিকেট জীবনে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি
সবে শেষ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ। সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে ভারত। টেস্টের পরই নিজের ক্রিকেট জীবনের এক বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জয় ভারতের জন্য এবারও স্বপ্নই রয়ে গেল। বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে প্রথম টেস্ট জিতে আশা জাগালেও পরের ২টি টেস্ট হারতে হয়েছে বিরাট বাহিনীকে।
এই সিরিজে স্টাম্প মাইকের সামনে গিয়ে বিরাটের বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে ক্রিকেট মহলে হৈচৈ এখনও অব্যাহত। এই অবস্থায় টেস্ট সিরিজে পরাজয়ের পর নিজেই ভারতীয় দলের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন বিরাট কোহলি। শনিবার তিনি জানিয়ে দেন তিনি অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন।
বিরাট জানান, বিগত ৭ বছর ধরে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন দলকে সঠিক পথে চালিত করতে। তিনি সততার সঙ্গে তাঁর কাজ করে গেছেন। তবে সব কিছুই একটা সময় শেষ হয়। সেই সময় এসে গেছে।
তিনি ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এই সফরে অনেক ভাল কিছু হয়েছে, কিছু খারাপেরও সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে কখনও চেষ্টা বা বিশ্বাস কমেনি।
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাডিলেড টেস্টে ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক হন বিরাট। তারপর ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি টেস্ট ফরম্যাট থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি পাকাপাকিভাবে ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে একদিনের ও টি-২০ ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে বিরাটের সরা এক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরাটের সম্পর্ক নিয়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগেই, তাও কোনওভাবে প্রভাব ফেলল কিনা তাও স্পষ্ট নয়। তবে এ ২টি কারণকেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা।