এলাকায় ঘুরছে গোরিলা, অবশেষে গোরিলা রহস্যের কিনারা করল চিড়িয়াখানা
একজন নন, অনেকেই দাবি করেন তাঁরা রাতের অন্ধকারে একটি গোরিলাকে ঘুরতে দেখেছেন। কোথা থেকে এল তারও একটা আন্দাজ করে ফেলেন তাঁরা। পরে রহস্যের কিনারা হয়।

কারও পাড়ায় যদি গোরিলা এসে হাজির হয় তাহলে তাঁর প্রাণ তো উড়ে যাওয়ার জোগাড় হবে। সেটাই হয়েছিল। একে পাড়ায় সেদিন বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছিল। প্রায় অন্ধকার চারধার। তারমধ্যেই এক বিশাল প্রাণিকে অনেকেই দেখতে পান রাস্তায় ঘুরতে।
যেহেতু এলাকার অনেকেই একই দাবি করেন তাই বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার নয়। পুরোটাই চোখের ভুল এমনটাও নয়। এতজন মানুষ ভুল দেখতে পারেননা। প্রত্যেকেই বিষয়টি সম্বন্ধে সকলকে সতর্ক করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় গোরিলা দর্শনের দাবি করেন।
এও দাবি করেন স্থানীয় চিড়িয়াখানা থেকে নিশ্চয়ই ওই গোরিলাটি পালিয়েছে। কারণ শহরের বুকে আর কোথাও থেকে একটা গোরিলা এসে হাজির হওয়া তো সম্ভবই নয়। অনেকে আতঙ্কে বাড়ি থেকে বার হওয়াই বন্ধ করে দেন।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কানেও বিষয়টি পৌঁছয়। তারা পাল্টা সোশ্যাল মিডিয়া মারফত জানায়, তাদের চিড়িয়াখানা থেকে কোনও প্রাণি পালিয়েছে এমন কোনও উদাহরণ কোনও কালেই নেই। কারণ তাদের চিড়িয়াখানায় সুরক্ষা বন্দোবস্ত অত্যন্ত কঠোর।
সেই সঙ্গে চিড়িয়াখানা এও জানায় যে তাদের চিড়িয়াখানায় অনেক প্রাণি আছে, তবে গোরিলা নেই। যে প্রাণিটা তাদের চিড়িয়াখানায় নেই, তা পালাবে কোথা থেকে? যদিও এখানেই শেষ করেনি তারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ গোরিলা রহস্যেরও কিনারা করেছে। তারা জানায় যে প্রাণিটিকে চিড়িয়াখানার আশেপাশের মানুষ দেখেছেন তা কোনও প্রাণি নয়। তাদের ম্যাসকট হল বিগফুট। যা গোরিলার মতই বনমানুষ গোছের প্রাণি বলে পরিচিত। যাকে দেখাই যায়না।
সেই প্রাণির মত সেজে একজন আশপাশে ঘুরে বেড়ান। তিনি চিড়িয়াখানার ম্যাসকটকেই পরিচিত করেন। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মনে করছে হয়তো তাঁকেই দেখেছেন মানুষজন। গোরিলার মত পোশাক পরে থাকায় তাঁকে গোরিলা ভেবে ভুল করেন সকলে।