মাত্র একটি কাঠবিড়ালির জন্য অন্ধকারে ডুবে গেল ১০ হাজার বাড়ি
একটি কাঠবিড়ালির কতই বা ক্ষমতা! কিন্তু তা কতটা ক্ষমতা ধরে তা বুঝিয়ে দিল মাত্র একটি কাণ্ডে। একসঙ্গে অন্ধকারে ডুব দিল ১০ হাজার বাড়ি।
একটা কাঠবিড়ালি কার্যত গোটা শহরকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল। মাথায় হাত পড়ল বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক থেকে কর্মীদের। ২টি স্কুলে পঠনপাঠন লাটে উঠল। ১০ হাজার পরিবার লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে ডুবে গেল। আর সবই হল একটি কাঠবিড়ালির কাণ্ডে।
তখন স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টা। ব্যস্ত সময়। অফিসে কাজ শুরু হচ্ছে। স্কুলে পড়াশোনা চলছে। বাড়িতে লোকজন কাজে ব্যস্ত। আর ঠিক সেই সময় ঘটল বিপত্তি। চলে গেল বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎ নির্ভর শহুরে জীবনে একটা মিনিট বিদ্যুৎ ছাড়া টেকা দায়। সেখানে লোডশেডিং হয়েছে তো হয়েছেই। কারণ লোডশেডিং কেন হল সেটাই পরিস্কার হচ্ছিল না বিদ্যুৎ দফতরের কাছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে তো ঘাটতি নেই! তাহলে কি এমন ঘটল!
তন্ন তন্ন করে খোঁজ করার পর দেখা গেল ভার্জিনিয়ার সমুদ্রসৈকত লাগোয়া একটি বিদ্যুৎ বণ্টন সাবস্টেশনের একটি সার্কিট ব্রেকার এবং একটি ট্রান্সফরমারের মাঝখানে কোনওভাবে একটি কাঠবিড়ালি ঢুকে পড়ে। যা জেরে ট্রান্সফরমারটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
ট্রান্সফরমার কাজ করা বন্ধ করতেই একসঙ্গে ১০ হাজার পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। ২টি স্কুলও অন্ধকার হয়ে যায়। কারণ জানার পরই দ্রুত তা মেরামতির কাজ শুরু হয়। ১ ঘণ্টা পর অবশেষে ফের ফিরে আসে বিদ্যুৎ। স্বাভাবিক হয় জনজীবন।
একটি ছোট্ট কাঠবিড়ালি যে একটা গোটা শহরের জনজীবনকে ১ ঘণ্টার জন্য স্তব্ধ করে দিতে পারে তা দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।