শেয়াল মা সেজে ভুলিয়ে দুধের শাবকের পেট ভরালেন উদ্ধারকারী
ছোট্ট শাবক মা ছাড়া কাউকে চেনে না। মাকে না দেখলে তারা বেঁকে বসে। কিছু মুখেও তুলবে না। অগত্যা একদম অন্য পথে হাঁটলেন উদ্ধারকারী।
সে মানবশিশুই হোক বা অন্য কোনও প্রাণির শাবক, জন্মের পর সে মায়ের চেয়ে ভাল আর কাউকে চেনে না। মায়ের সঙ্গে সদ্যজাত শিশুরও এক অদ্ভুত যোগ থাকে। নাড়ির টান থাকে। তেমনই এক সদ্যোজাত দুধের শিশুর সন্ধান পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা।
মাতৃহারা সেই শিশুকে নিয়ে আসেন সযত্নে। কিন্তু খাওয়া? সে তো মা ছাড়া কারও কাছে খাবে না। তাকে তো দুধ খাওয়াতে তার মাকে প্রয়োজন! কিন্তু মাকে কোথায় পাওয়া যাবে? এদিকে মাকে দেখতে না পেলে সে খাবেও না। অগত্যা একটাই রাস্তা।
উদ্ধারকারী এক সদস্য মুখ ঢাকলেন লাল শেয়ালের মুখোশে। আচমকা দেখলে মানুষও ধোঁকা খেয়ে যেতে পারেন। ছোট্ট সেই লাল শেয়াল শাবককে তাই এমন সাজে ভোলাতে সমস্যা হয়নি।
সেও ভেবে নিয়েছিল তার মা তার কাছে এসেছে। এরপর বিশেষ নিপলের সাহায্যে সিরিঞ্জে করে ওই ব্যক্তি শেয়াল মা সেজে সদ্যোজাত সেই শাবককে দুধ খাইয়ে দেন।
ছোট্ট লাল শেয়ালও কোনও ওজর আপত্তি না করে একটানে সব দুধটুকু শেষ করে দেয়। শেয়াল সেজে শাবকটিকে ভুলিয়ে অন্তত দুধটা খাওয়ানো সম্ভব হওয়ায় বেজায় খুশি উদ্ধারকারীরাও।
ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টারের বন্যপ্রাণ উদ্ধার কর্মীদের এই উদ্যোগের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। বিভিন্ন বন্যপ্রাণিকে এভাবে শৈশবে উদ্ধার করে আনা হয়। তাদের বাঁচানো হয়। বড় করে তোলা হয়।
তাদের যাতে আবার মানুষের সঙ্গে থাকার অভ্যাস না হয়ে যায়, যাতে তারা বড় হলে তাদের বনেই ছেড়ে দেওয়া যায়, সেজন্য তাদের এই সেন্টারে রাখার সময় মানুষের থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা হয়।
মানুষের কথা শুনতে না দেওয়া, তাদের মত দেখতে মুখোশ পরে তাদের কাছে যাওয়া, চারধারকে জঙ্গলের মত দেখতে করে রাখার চেষ্টায় ত্রুটি রাখা হয়না এখানে।