
আজ বিশ্বকর্মা পুজো। সকাল থেকেই কল-কারখানা থেকে বিভিন্ন অফিসে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড় ছিল তুঙ্গে। পুজো থেকে শুরু করে দিনভর খাওয়া দাওয়া হৈহুল্লোড়ের আয়োজনও ছিল যথেষ্ট। দুপুরে কোথাও আয়োজন ছিল খিচুড়ি, ইলিশভাজার। তো কোথাও ছিল ভাত আর পাঁঠার মাংসের অঢেল বন্দোবস্ত। সারা বছরের একঘেয়ে কাজের বাইরে বেরিয়ে এই দিনটা প্রতি বছরই কল কারখানায় কাজ করা মানুষের কাছে একদম অন্যরকম। মেশিন বন্ধ। সকাল থেকেই কর্মক্ষেত্রে খুশির আবহ। অনেক জায়গায় কর্মীদের এই খুশিতে সামিল হয়েছিলেন মালিকরাও। এদিকে বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ রঙিন করা ঘুড়ির বাহার। সকালের নীল আকাশে এদিন ভোর থেকেই ছাদে ছাদে ঘুড়ি ওড়ানোর ঢল নজর কেড়েছে। তবে বেলা বাড়তে বাধ সেধেছে বৃষ্টি। এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমেছে। যা দীর্ঘক্ষণ চলেছে। ফলে ঘুড়ি ওড়ানো সম্ভব হয়নি। আকাশের দিকে চেয়ে ঘুড়ি প্রেমীদের একটাই প্রার্থনা ছিল। থেমে যাক বৃষ্টি। কেটে যাক মেঘ। এই দিনটা বছরে একবারই আসে। তাই সেই খুশিটুকু উপভোগে মনে মনে ঈশ্বরের কাছে কাতর প্রার্থনা জানিয়েছেন তাঁরা।