রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দে মেতে উঠবে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। আর বিশ্বকর্মা পুজো মানেই পুজোর ঢাকে কাঠি। আগে গণেশ পুজোর এত রমরমা ছিলনা এ রাজ্যে। ফলে রাজ্যে পুজোর মরশুম শুরু হত বিশ্বকর্মার হাত ধরেই। সেটাই এখনও পরম্পরা হয়ে রয়ে গেছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই এখনও বাঙালির কাছে পুজো এসে গেল!
বিশ্বকর্মা পুজো ঘরে ঘরে হয়না। বরং যেখানে যন্ত্রের ব্যবহার সেখানেই পূজিত হন বিশ্বকর্মা। ফলে কলকারখানাগুলোতে আগের দিন থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। এবার আবার সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো। ফলে পুজোর আগের দিনটা রবিবার পাওয়ায় তোড়জোড় সকাল থেকেই গতি পেয়েছে। মূর্তি কেনা থেকে তা নিয়ে আসা। পুজোর জায়গা পরিস্কার করে সেখানে রাখা। নিজেরাই হাত লাগিয়ে একটা ছোট্ট প্যান্ডেলের মত খাড়া করা। আলো লাগানো। ফলমূল থেকে পুজোর দশকর্মার বাজার। সবই এদিন চলেছে দিনভর। রবিবারের ছুটিটা কাজে এসেছে।
বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে এবার রয়েছে আবার অরন্ধন। ফলে গত শনিবার থেকেই বাজার আগুন। ফল থেকে কাঁচা আনাজ কিছুতেই হাত ছোঁয়ানো দায় হয়েছে। তারওপর ইলিশ বিকচ্ছে কমপক্ষে ৫০০ কাটা কেজি দরে। তাও ছোট ছোট ইলিশ। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিকচ্ছে দেড় হাজার থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। দর চড়েছে পাঁঠার মাংসেরও। কেবল কিছুটা হলেও আয়ত্তের মধ্যে মুরগির মাংস। তবে এ দামবৃদ্ধি নতুন নয়। প্রতি বছরই এই একই অগ্নিমূল্য বাজারে ছেঁকা দেয়। তবু বছরের একটা দিন কিন্তু হৈচৈ আনন্দেই কাটান সকলে। আর মেতে ওঠেন পুজো আসার আনন্দে।