আমজনতার এই পুজোয় সরাসরি যোগদান কম। মূলত এটা যন্ত্রপাতির সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের পুজো। তবে এ রাজ্যে পুজোর ঢাকে কাঠি যদি বলতে হয়, তবে বিশ্বকর্মা পুজো। শরতের আকাশে প্রথম পুজোর গন্ধটাই ভাসিয়ে দেয় এই পুজো। বিভিন্ন কলকারখানা তো বটেই, এমনকি ঝাঁ চকচকে জায়গাতেও যন্ত্রের ব্যবহার মানেই সেখানে বিশ্বকর্মা পুজো হবে। রাত পোহালেই পুজো। তাই মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রস্তুতির পারদ চড়েছে। যত দিন গড়িয়েছে ততই কলকারখানায় কাজকর্ম কমে কর্মীরা মেতে উঠেছেন বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতিতে। কেউ ছুটেছেন ঠাকুর কিনতে। কেউ দল বেঁধে বাজারে। কেউ আবার পুজোর বাজারের দায়িত্বে।
বিশ্বকর্মা পুজোয় প্রতি বছরের মত এবারও বাজার বেশ চড়া। তবে প্রতি বছরের মতই এবারও চড়া বাজার নিয়ে বড় একটা চিন্তিত নন মানুষজন। বরং বছরে একটা দিন চুটিয়ে উপভোগ করতে চাইছেন তাঁরা। ছোট থেকে বড় বিভিন্ন সাইজের বিশ্বকর্মা দেদার বিকিয়েছে বিভিন্ন বাজারে। সেইসঙ্গে পুজোর প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনতে দশকর্ম্মা ভাণ্ডারগুলোয় বিকেল হতেই উপচে পড়েছে ভিড়। অনেক জায়গায় বিকেলের মধ্যেই ছোট প্যান্ডেল তৈরি করে ঠাকুর বসানো সম্পূর্ণ হয়েছে। কলকারখানায় কাজকর্ম এদিন তেমন হচ্ছেনা। বরং পুজোর ওয়ার্ম আপ চলছে জোর কদমে।
বিশ্বকর্মা পুজো মানেই পুজোর সঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া। ফলে কাঁচা বাজার বেশ চড়া। আনাজপাতির দাম স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি। আবার ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম আরও চড়া। সেইসঙ্গে মাছের দামও চড়েছে। মাংসের দোকানগুলোয় বিকেলের পর লাইন পড়েছে। অনেকেই আগের দিন থেকে সব জোগাড় করে রাখছেন। বুধবার সকাল হলে একদিকে যেমন পুজো চলবে। তেমনই অন্যদিকে দুপুরের ভূরিভোজের আয়োজন চলবে। সব মিলিয়ে প্রতিবছরই বিশ্বকর্মা পুজোয় যে চেনা ছবি ধরা পড়ে, এবারও তার অন্যথা নেই।