শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব দেখতে দোলের সকালে মানুষের ঢল নামে বোলপুর শহরে। বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে যে ভিড় জমে তা বছরের অন্য কোনও সময়ে হয়না। দোলের দিন সকালে শান্তিনিকেতনের প্রাঙ্গণে নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে চিরন্তন প্রথা মেনে বিশ্বভারতীতে শুরু হয় দোলের। ফাগের রঙে নেচে ওঠে বাঙালির মন। আর শুধু বাঙালি বলেই নয়, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকি বিদেশ থেকেও দোলের সকালে শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব দেখতে হাজির হন বহু মানুষ। দোলের সকালে শান্তিনিকেতনের সেই বসন্ত উৎসব কী আর দেখতে পারবেন উৎসাহী মানুষজন? এ প্রশ্ন কিন্তু উঠে গেছে। এমনকি শোনা যাচ্ছে দোলের সকালে নয়, বসন্ত উৎসব পালিত হবে তার ঢের আগে।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানাচ্ছে, বসন্ত উৎসব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শুরু করা নিয়ম মেনে দোলের দিন সকালে অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে প্রবেশাধিকার থাকবেনা সাধারণের। কেবল বিশ্বভারতীর শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন। সাধারণের সেদিন প্রবেশ নিষেধ হতে পারে। আর সাধারণের জন্য একটি বসন্ত উৎসব পালিত হতে পারে আগামী ১৮ বা ১৯ ফেব্রুয়ারি। ফলে দোলের সকালে ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল-এর সুরে বসন্তের আকাশ ফাগে রাঙিয়ে এতকাল ধরে বাঙালির চেনা বসন্ত উৎসবে ছেদ পড়তে পারে এবছর থেকেই।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের সমাগম হয় শান্তিনিকেতনে। ভিড় সামলানো মুশকিল হচ্ছে। তাদের কাছে যথেষ্ট সুরক্ষাকর্মী নেই। প্রতি বছরই তাই সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা যথেষ্ট ভাল। তাহলে কেন্দ্র পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এতদিনের রীতি ভাঙার প্রয়োজন পরছে কেন? এমনকি তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত ক্ষেত্রকে কোনওভাবে ছোট করার চেষ্টা হলে তা কিছুতেই মানা হবেনা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কী সমস্যা হচ্ছে তা নিয়েও আলোচনা তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা