State

শান্তিনিকেতনে পালিত হল হলকর্ষণ উৎসব, টানা হল হাল

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে হাতে হাল টেনে শুরু করেছিলেন হলকর্ষণ উৎসব। আজও শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব বা পৌষ মেলার মতই অন্যতম আকর্ষণ এই বর্ষার উৎসব।

২টি বলদ টেনে নিয়ে চলেছে হাল। উর্বর হচ্ছে বর্ষার মাটি। তৈরি হচ্ছে ফসল ফলানোর উপযুক্ত জমি। বর্ষায় কৃষকদের এই হাল টানার হাত ধরেই ১৯২৮ সালে বিশ্বভারতীতে হলকর্ষণ উৎসবের সূচনা করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

নিজেই হাল টেনে এই উৎসবের সূত্রপাত করেন কবিগুরু। তারপর প্রতি বছর বর্ষায় যে কোনও একটি দিনে পালিত হত হলকর্ষণ উৎসব।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর অবশ্য একটি দিনে নিয়ে আসা হয় সেটিকে। ২২ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিরোধান দিবস। তার ঠিক পরদিন ২৩ শ্রাবণ প্রতি বছর পালিত হতে শুরু করে এই হলকর্ষণ উৎসব। যা আজও একইভাবে চলে আসছে। এদিন শ্রীনিকেতনে সূচনা হল এই উৎসবের।

বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসব বা পৌষ মেলার মত অতটা জনপ্রিয় না হলেও হলকর্ষণ উৎসব দেখতেও প্রতিবছর শান্তিনিকেতনে ভিড় জমাতেন মানুষজন। গত ২ বছরে করোনা পরিস্থিতিতে তা অমিল। উৎসাহী মানুষের দেখা নেই। তবে উৎসব হয়েছে তার নিয়ম মেনেই।


এদিন উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মাঠে লাঙল চষে যেমনভাবে প্রতিবার হলকর্ষণ উৎসবের সূচনা হয় এবারও তার অন্যথা হয়নি।

এই অনুষ্ঠানে অবশ্য এদিন খুব কম সংখ্যক মানুষই উপস্থিত ছিলেন। তবে নিয়ম রক্ষা হয়েছে। হলকর্ষণ উৎসবে ছেদ পড়েনি। সঙ্গে ছিল রবীন্দ্রনাথের গান। এবার লাঙল চষেন হালসিডাঙা গ্রামের এক কৃষক।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button