মৃত্যুতে জীবনের শেষ নয়। একটি জীবনের চলে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার করা যায়, এমনটাই ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনা। সেই ভাবনার বাস্তবায়নের কারণেই প্রতি বছর বাইশে শ্রাবণ শান্তিনিকেতনে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান। আর এখন তো বহু প্রতিষ্ঠানই এই দিনটি এভাবে পালন করে থাকে।
আধুনিকতার ছোঁয়া লাগা বিশ্বভারতী গুরুদেবের স্মরণে এই প্রথা কতটা আন্তরিক ভাবে উদযাপন করে তা বোঝা যায় তাদের পরিকল্পনায়। বিশ্বভারতী যেখানে কংক্রিটের নতুন ভবন তৈরি করে, সেখানেই পালিত হয় বৃক্ষরোপণ উৎসব। ঠিক যেন কংক্রিটের মাঝে এক টুকরো সবুজ ছুঁইয়ে দেওয়া।
এবছর বৃক্ষরোপণ উৎসব পালিত হল নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনে। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন। অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক হাসান। এদিন একটি গোলাপি আমলতাস গাছ পোঁতা হয়।